মেসি-মার্টিনেজকে ছাড়া কেমন একাদশ সাজাবেন স্কালোনি?
Published: 21st, March 2025 GMT
গত নভেম্বরে পেরুর বিপক্ষে জিতলেও প্যারাগুয়ের মাঠে হতাশা সঙ্গী হয়েছিল আর্জেন্টিনার। এবার উরুগুয়ের মাঠে জয়ের চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৫.৩০ মিনিটে উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে তারকা স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি ও লওতারো মার্টিনেজকে ছাড়া। দু’জনই দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না তারা।
মেসি-মার্টিনেজ না থাকায় আর্জেন্টিনার আক্রমণ সামলানোর ভার পড়তে পারে হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে অ্যাঞ্জেল কোরেইরা ও নিকোলাস গঞ্জালেসের কাঁধে। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে মিডফিল্ড দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে আলবিসেলেস্তেদের। ওই ভূমিকায় বড় অবদান রাখতে হবে ম্যাক অ্যালিস্টার ও রদ্রিগো ডি পলের।
জোড়া ইনজুরিতে আক্রমণভাগ নিয়ে আর্জেন্টিনা শিবিরে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও মিডফিল্ড ও রক্ষণে বেশ গোছালো লিওনেল স্কালোনির দল। ম্যাক অ্যালিস্টার, ডি পল ও এনজো ফার্নান্দেজ মিডফিল্ড সামলানোর দায়িত্ব ভালো মতোই করছেন। রক্ষণে অভিজ্ঞ ওতামেন্ডির সঙ্গে থাকা ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নাহুয়েল মলিনা ও নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো ছন্দে আছেন।
উরুগুয়ে দলও শক্তিশালী। রক্ষণে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে খেলা সান্তিয়াগো গিমিনেজ, বার্সায় খেলা রোনাল্ড আরাহো আছেন তাদের। মিডফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদে ফেদে ভালভার্দে ও টটেনহ্যামে খেলা রদ্রিগো বেনটাকুর আছেন। আক্রমণভাগে আছেন স্পোর্টিং সিপিতে খেলা ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাহো ও লিভারপুলে খেলা ডারউইন নুনিয়েজ।
আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: এমি মার্টিনেজ, নাহুয়েল মলিনা, ওতামেন্ডি, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ত্যাগফিয়াফিকো, ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, অ্যাঞ্জেল কোরেইরা, হুলিয়ান আলভারেজ।
উরুগুয়ের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: রোচেট, রোনাল্ড আরাহো, সান্তিয়াগো গিমিনেজ, মার্সেলো সারাসি, রদ্রিগো বেনটাকুর, ফাকুন্দে পেলিস্তি, রদ্রিগো আগুইরে, ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাহো ও ডারউইন নুনিয়েজ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ফ টবল ব শ বক প ব ছ ই আর জ ন ট ন র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ
দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে।
সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।
বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি।