রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নে তামাক চুল্লিতে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক মনির (৩০) পালাতক। 

কিশোরীর বাবা বলেন, “গত বুধবার রাতে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মনিরের বাসায় যাই। মনিরের স্ত্রী জানায়, আমার মেয়ে সেখানে যায়নি, তার স্বামী তামাক ক্ষেতে আছে। সন্দেহ হলে, তামাক ক্ষেতে খুঁজতে গেলে মনির মানুষ দেখে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকার লোকজন তাকে আটক করে। পরে মনির স্বীকার করেন, আমার মেয়ে তামাকের চুলায় আছে। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।”

তিনি আরো বলেন, “স্থানীয় মাতব্বররা মামলা না করার পরামর্শ দেন। তারা বসে বিষয়টি সমাধান করার কথা বলেন। এসময় আমার মেয়ের ধর্ষককে কৌশলে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন তাকে হেফাজতে রাখা লোকজন।”

আরো পড়ুন:

কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীর সেই পরিবারটির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান

ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, “আমার সঙ্গে মনিরের সম্পর্ক আছে, এমনটা আমার বাবাকে বলবে বলে ভয়ে দেখান মনির। এ কারণে আমি তামাক ক্ষেতে পালাই। কিছুক্ষণ পর আমাকে দেখতে পেয়ে জোর করে গভীর তামাক ক্ষেতে নিয়ে যান মনির। চট্টগ্রামে নিয়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তামাকের চুলায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মনির। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলে মনির আমাকে তামাক চুলায় রেখে পালিয়ে যান।”

লংগদু থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “কিশোরীর বাবা বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় আসলে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, কুমেক হাসপাতালে গিয়ে হামলার শিকার ৪ সাংবাদিক

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভুল চিকিৎসায় পারুল বেগম (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চারজন সাংবাদিক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিকরা।

আহতরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি রফিক ইসলাম খোকন চৌধুরী, ক্যামেরা পার্সন সাকিব, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান এবং ক্যামেরা পার্সন ইরফান। এ সময় হামলাকারীরা তাদের মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

রাত সোয়া ১টায় ওই হাসপাতাল থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেছেন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুমনা টিভির সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে ভুল চিকিৎসায় একজন নারীর মারা যাওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে যাওয়ার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মুঠোফোনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরা এ নিয়ে জরুরি মিটিংয়ে বসেছি। কেন এই ঘটনা তা জেনে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ