অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভেরিতে সমস্যা ছিল তার। রান পেলেও স্ট্রাইক রেট ছিল না মানানসই। সব ঝামেলা যেন জাদুর মতো ঠিক হয়ে গিয়েছে নাঈম শেখের। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা টেনে এনেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

চলতি ডিপিএলে রানের বন্যা বসিয়ে দেওয়া নাঈম, শুক্রবারও (২১ মার্চ) পেয়েছেন শতকের দেখা। তার ঝড়ো গতির সেঞ্চুরির সুবাদে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হেসেখেলে ৯ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে, টসে জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৮.

৪ বল খেলে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন ফারজান আহমেদ। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিন পেসার শফিকুল ইসলাম ও স্পিনার নাজমুল হোসেন অপু।

আরো পড়ুন:

কষ্টের জয়ে শীর্ষেই রইল আবাহনী

বৃথা গেল সোহানের সেঞ্চুরি, মোহামেডানের আরও একটি জয়

ছোট রান তাড়া করতে নেম শুরু হয় নাঈমের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়। ফলে কখনোই মনে হয়নি ম্যাচে আছে শাইনপুকুর। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয় ৩৬ বলে ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেনও ছিলেন দারুণ সাবলীল। ৪৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।

অন্যপ্রান্তে নাঈম ছিলেন অবিচল। ফিফটি ছুঁয়ে প্রতাপের সঙ্গে এদিয়ে যেতে থাকেন শতকের দিকে। ৬৩ বলে তিন অংকের দেখা পাওয়া নাঈম শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৬৪ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায়। অন্যদিকে ১১ বলে ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। এই দুইজনের ৪২ রানের জুটিতে, মাত্র ২০.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে প্রাইম ব্যাংক।

চলমান ডিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। সাত ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে এর মাঝেই ৪৫৯ রান করে ফেলেছেন নাঈম। স্ট্রাইক রেট ১২০.৭৯।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, কুমেক হাসপাতালে গিয়ে হামলার শিকার ৪ সাংবাদিক

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভুল চিকিৎসায় পারুল বেগম (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চারজন সাংবাদিক। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিকরা।

আহতরা হলেন- যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি রফিক ইসলাম খোকন চৌধুরী, ক্যামেরা পার্সন সাকিব, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান এবং ক্যামেরা পার্সন ইরফান। এ সময় হামলাকারীরা তাদের মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বেশকিছু শিক্ষার্থী হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

রাত সোয়া ১টায় ওই হাসপাতাল থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেছেন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুমনা টিভির সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে ভুল চিকিৎসায় একজন নারীর মারা যাওয়ার খবর শুনে হাসপাতালে যাওয়ার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মুঠোফোনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মির্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরা এ নিয়ে জরুরি মিটিংয়ে বসেছি। কেন এই ঘটনা তা জেনে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ