নাটোরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে সেনাসদস্য নিহত
Published: 21st, March 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুরে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা টোল প্লাজা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সেনা সদস্যের নাম আল মামুন (২৬)। তিনি নাটোর সদর উপজেলার বড়বাড়িয়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত ওছিম উদ্দিনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় ২ জন নিহত
পাবনায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো.
তিনি আরো বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে। তার কাছে সেনা সদস্যের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তিনি কোথায় কর্মরত ছিলেন তা জানা যায়নি।”
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত স ঘর ষ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ফুলেল শ্রদ্ধায় রানা প্লাজার নিহতদের স্মরণ
সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডি দিবস স্মরণে নিহতদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নানা পেশাজীবি মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রানা প্লাজার সামনে ভিড় জমান তারা। সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন আহত শ্রমিকেরা।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলের এইদিনে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ওই জয়গায় রানা প্লাজা ধসে নিহত হন ১ হাজার ১৩৮ জন। পঙ্গুত্ববরণ করেন অনেকে।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন
শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি
ওই দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে ধসেপড়া রানা প্লাজার পরিত্যক্ত জায়গার সামনের দিকের একটি অংশে জড়ো হতে শুরু করেন নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নিহতদের স্বরণে ওই জায়গায় অস্থায়ী প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
রানা প্লাজার ৬ষ্ঠ তলার একটি কারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করতেন ইয়ানুর বেগম। তার দাবি ন্যায্য ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের।
ইয়ানুর বেগম বলেন, ‘‘গত ১১ বছরে যদি আমরা ক্ষতিপূরণ পাইতাম তাহলে কেউ আন্দোলন করতো না। কেউ রাস্তায় নেমে বলতো না আমাদের একদফা এক দাবি, ক্ষতিপূরণ চাই। বর্তমান সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) বলছিল ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও সেটি দেওয়া হয়নি। আমরা ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, আমাদের পুনর্বাসন চাই।’’
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও নানা দাবি জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ এপ্রিল পোশাক শিল্পে সাধারণ ছুটি ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন ১২১ অনুসারে নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের সুচিকিৎসার ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন বলেন, ‘‘রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এখনো আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি। এখনো রানা প্লাজার আহত শ্রমিকেরা চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন ১২১ অনুসারে নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘রানা প্লাজার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে। আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’’
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দ ব্যাপারী বলেন, ‘‘রানা প্লাজা ধসের ১২ বছরে আমরা দোষীদের বিচার দেখতে পাইনি। আগের সরকার বিচারের আশ্বাস দিয়েছিল কিন্তু বিচার হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি দোষীদের দ্রুত বিচার করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।’’
সকাল ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আনন্দোলন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, গার্মেন্টস শ্রমিক টেক্সটাইল ফেডারেশন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ নানা শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ নিহতদের স্বজন ও আহত শ্রমিকেরা অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল