মাফিয়াদের কাছে কিশোরকে বিক্রির অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তর ২
Published: 21st, March 2025 GMT
মাদারীপুরের ডাসারের এক কিশোরকে লিবিয়ার মাফিয়াদের কাছে বিক্রির অভিযোগে মামলা মামলা হয়েছে। মামলায় মানবপাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে সুজন সরদার (৩৬) ও রিক্তা আক্তার (৩০) নামে মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী লাকী আক্তার বলেন, “আমার ছেলে সজীব মাতুব্বরকে (১৮) ইউরোপের দেশ ইতালির পাঠানোর কথা বলে প্রায় দুই বছর আগে লিবিয়ায় পাঠায় সুজন সরদার ও তার সহযোগীরা। লিবিয়া পাঠিয়ে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপরে আমার ছেলেকে নির্যাতন করে আমাদের কাছ থেকে দফায় দফায় ৩২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় দালালচক্র। টাকা দিয়েও মুক্তি মেলেনি আমার ছেলের। আমার ছেলে এখন নিখোঁজ। আমি দালালদের বিচার চাই।”
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরের মা লাকী আক্তার বাদী হয়ে সুজন সরদারসহ ১৬ জনকে আসামি করে গত ১৮ জানুয়ারি ডাসার থানায় মানবপাচার ও দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পরে আত্মগোপনে চলে যান আসামিরা।
সেই মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামিদের পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানাধীন পাগলা এলাকা থেকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান আছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সুজন সরদার ও তার সহযোগীরা ইউরোপের দেশ ইতালির পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক যুবককের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদিকে তার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার থানায় এসে তার শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম বলেন, “মানবপাচার দমন আইনে মামলা হলে সুজন সরদার ও রিক্তা আক্তারকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/বেলাল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নবপ চ র আম র ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর সিরাজুল ইসলাম (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকার বালুর মাঠের ঝোপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিরাজুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৬ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে হাঁটতে বের হয়ে আর ফেরেননি সিরাজুল। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে শামীম রেজা সোনারগাঁ থানায় একটি ডায়েরি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল আটটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা কান্দারগাঁও এলাকায় মেঘনা শাখানদীর পাশের বালুর মাঠে ঝোপের ভেতর একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিবারের সহায়তায় মরদেহটি সিরাজুল ইসলামের বলে শনাক্ত করে। বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে—এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’