বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে আ.লীগ এমনিতেই নিষিদ্ধ হয়ে যাবে: এ্যানি
Published: 21st, March 2025 GMT
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “গত ১৬-১৭ বছর স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার পরিবার গুম-খুন ও লুটপাট করেছে। এগুলোর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে আওয়ামী লীগ এমনিতেই নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। বিচার দৃশ্যমান হলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখান করবে।”
শুক্রবার (২১ মার্চ) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মান্দারি ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
এ্যানি বলেন, “তাদের এমপি, মন্ত্রী, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীরা অসংখ্য অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব কিছুর বিচার শুরু হওয়া দরকার ছিল। প্রয়োজন ছিল ৩ মাসের মধ্যেই এসব বিচার করার। যদি বিচারগুলো হতো, তাহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কথাটা বারবার আসতো না। সাত মাস চলে গেছে, এখন পর্যন্ত হাসিনা ও তার পরিবারের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।”
আরো পড়ুন:
দেশের চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচন: ফখরুল
নাটোরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ইফতার মাহফিলের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আহম্মদ ফেরদাউস মানিক, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে বৈদ্যুতিক ফাঁদে হাতির মৃত্যু কৃষক গ্রেপ্তার
শেরপুরের নালিতাবাড়ী গারো পাহাড়ের পূর্ব সমশ্চুড়া এলাকায় ধানক্ষেতের পাশে দেওয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জমির মালিক জিয়াউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে ৩১ অক্টোবর একইভাবে পার্শ্ববর্তী বাতকুচি গ্রামের টিলাপাড়া এলাকায় একটি বন্যহাতি প্রাণ হারায়। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে মানুষের পাতা ফাঁদে দুটি হাতির মৃত্যু হলো।
বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার দেওয়ান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এক সপ্তাহ ধরে ২০-২৫টি বন্যহাতির পাল উপজেলার গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলা ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনে টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যার পর তারা দল বেঁধে ধানক্ষেত এবং লোকালয়ে নেমে আসে।
পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম-সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ৭০-৮০ একর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। গারো পাহাড়ে অবস্থানরত বন্যহাতির দলটি সম্প্রতি পাহাড়ি এলাকার বোরো ধানক্ষেতে প্রতিনিয়ত খাবারের সন্ধানে হানা দিচ্ছিল। কৃষকরা ফসল রক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে এবং হৈহুল্লোড় করে হাতির পাল প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। অনেকেই বন্যহাতির কবল থেকে ফসল রক্ষায় ধানক্ষেতে জেনারেটরের মাধ্যমে তার দিয়ে ঘিরে রাখেন।
বৃহস্পতিবার রাতেও অন্যান্য দিনের মতো পূর্ব সমশ্চুড়া গুচ্ছগ্রাম-সংলগ্ন লাল টেঙ্গর এলাকায় পাহাড়ের ঢালে থাকা জিয়াউর রহমানের বোরো ধানক্ষেতে হানা দেয় বন্যহাতির পাল। এ সময় একটি মাঝ বয়সী পুরুষ হাতি ক্ষেতের পাশে দেওয়া জেনারেটরের জিআই তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্য হাতিরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে তাণ্ডব চালায় ও মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। এ কারণে ভয়ে ফসল রক্ষায় বা হাতিটি উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি। রাত ১১টার দিকে বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। রাতেই কৃষক জিয়াউরকে নন্নী বাজার থেকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন ওই কৃষকসহ অজ্ঞাতনামা দু’জনের বিরুদ্ধে বন্যহাতি হত্যার অভিযোগ এনে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমরা বারবার বুঝাতে চেষ্ট করছি, হাতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের শতভাগ ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে। তবু তারা যেন হাতির ওপর আক্রমণ না করে।