গ্লোবাল আইকন প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট সব সময় চর্চায় উঠে আসে। এবার সম্পূর্ণ অন্য লুকে ধরা দিয়েছেন বলিউডের ‘দেশি গার্ল’। তবে এদিন সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর নাভির উজ্জ্বল এক টুকরা হীরা।
সম্প্রতি নিজের দেশে এসেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাঁর নানান ভিডিও ও ছবি এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উড়ে বেড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন ভারতীয় ছবি থেকে দূরে আছেন তিনি। তবে এবার দক্ষিণের খ্যাতনামা চিত্রপরিচালক এস এস রাজামৌলির ছবির মাধ্যমে ভারতীয় সিনেমায় ফিরতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা। এই ছবির কারণে মুম্বাইয়ে এসেছেন অভিনেত্রী। আর তখনই পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বন্দী হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনএকের পর এক ফ্ল্যাট বিক্রি করছেন কেন প্রিয়াঙ্কা০৭ মার্চ ২০২৫

প্রিয়াঙ্কা পুরোপুরি স্টাইলিশ আন্দাজে ধরা দিয়েছেন। তাঁর পরনে ছিল দামি ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় কো-অর্ড সেট। সাদা-কালো এই কো-অর্ড সেটের সঙ্গে কালো রঙের ক্রপ ট্যাংক টপ প্রিয়াঙ্কার লুককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। জানা গেছে, এই বিটাউন তারকার পরনের ডিয়োর ব্রান্ডের কো-অর্ড সেটটির মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তবে এদিন প্রিয়াঙ্কার এই ব্র্যান্ডেড পোশাককে ছাপিয়ে গেছে তাঁর নাভির জ্বলজ্বলে হীরা।

ক্রপ টপ পরার কারণে প্রিয়াঙ্কার নাভির এই হীরা সবার নজর কেড়েছে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হীরার দাম তিন কোটি টাকা বলা হচ্ছে। উজ্জ্বল হীরাটি প্রিয়াঙ্কার স্টাইল স্টেটমেন্টকে এদিন অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। পোশাকের সঙ্গে হালকা অলংকার বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কানে দেখা গেছে সোনালি হুপ কানের দুল, হাতে ব্রেসলেট, আর আঙুলে আংটি।

প্রিয়াঙ্কার এই নেকলেসটি বুলগারি থেকে নেওয়া। আইএনআর অনুসারে, এই নেকলেসের দাম ১২ কোটি রুপি বা ১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় শ্লীলতাহানি, অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা স্কুলছাত্রীর

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অপমানে স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা–যাওয়ার সময় প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় তিন বখাটে তরুণ। এ বিষয়ে সামাজিকভাবে বিচার চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে গতকাল রাতে ঘর থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। পরিবারের সদস্যরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ছাত্রীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে খুবই অসুস্থ। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। অভিযুক্ত তিনজন এলাকায় অনেক অপকর্মে জড়িত বলে জানান তিনি।

ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্রীটি মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে। অভিযুক্ত ছেলেগুলো এলাকায় বখাটেপনা করে বেড়ায়। মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম আজ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, উত্ত্যক্ত ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ