পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি সিফাত মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার জুকিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ দুপুর ২টার দিকে নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মো.

আনোয়ার জাহিদ আসামি গ্রেপ্তারের তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীর মিম হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার আরাকান আর্মির ৪ সদস্যসহ ১০ জনের নামে দুই মামলা

ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী জুলাই বিপ্লবে শহীদের মেয়ে।

আরো পড়ুন: পটুয়াখালীর সেই পরিবারটির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান

গ্রেপ্তার সিফাত মুন্সি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলগী গ্রামের সোহাগ মুন্সির ছেলে। 

এসপি আনোয়ার জাহিদ বলেন, “এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অপরাধীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।” 

আরো পড়ুন: ধর্ষণের ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: নাহিদ

পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “সম্প্রতি দুমকী থানায় দায়ের করা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ২ নম্বর আসামি সিফাত মুন্সিকে তার নানা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

গত ১৮ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় দুমকী উপজেলার আলগী এলাকায় ওই মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরদিন ১৯ মার্চ ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে দুমকী থানায় মামলা করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি সাকিব মুন্সি (১৭) ঘটনার পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। 

আরো পড়ুন: জুলাই বিপ্লবে শহীদ জসিমের মেয়েকে ‌সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “ভুক্তভোগীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার অভিযান চালিয়ে সাকিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ সিফাত মুন্সিকে পিরোজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।” 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল, কেন্দ্র সচিবসহ ৪ শিক্ষক বহিষ্কার

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিবসহ ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা এই বহিষ্কার আদেশ দেন।

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছর তারা কোনও পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

বহিষ্কৃতরা হলেন- ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্র সচিব মো. বিল্লাল হোসেন এবং উপজেলার ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের ঠাকুর বাকাই ময়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান, নিলুফার ইয়াসমীন এবং গোলাম রেজুয়ান।

ইউএনও সাদিয়া ইসলাম সীমা জানান, পরীক্ষার হলে কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেছে। এটি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সুস্পষ্ট দায়িত্বে অবহেলা।

ভাইটকান্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রের হল সুপার সিকদার জানান, ভোকেশনাল শাখার কয়েকজন ছাত্র সম্ভবত জানালা দিয়ে জব্দ হওয়া মোবাইলগুলো পরীক্ষার হলে নিয়েছিল। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে এসব ধরা পড়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ