ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ আটক নৌবাহিনী কর্মচারী
Published: 21st, March 2025 GMT
দিনাজপুরে ট্রেনের ১৩০টি টিকিটসহ সাজেদুর রহমান (২৮) নামে নৌবাহিনীর এক কর্মচারীকে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
শুক্রবার দুপুরে তাকে দিনাজপুর জিআরপির থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান নৌবাহিনীর সদস্যরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল।
আটক সাজেদুর রহমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাধানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি ৯ বছর ধরে নৌবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন এবং বর্তমানে খুলনার বিএনএস পদ্মা ইউনিটে ল্যান্স করপোরাল পদে কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বিভিন্ন রুটের ট্রেনের ১৩০টি টিকিট ছাড়াও তাঁর কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি সিম কার্ডও পাওয়া গেছে। যেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
দিনাজপুর জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও পৌঁছালে প্ল্যাটফর্মে টিকিট চেক শুরু করেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় সাজেদুরের টিকিট চেক করার সময় এক টিকিটে ২২ জনের আসন দেখতে পান। এসময় দায়িত্বরত টিটি তার পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঠাকুরগাঁও জিআরপি থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টিকিট কালোবাজারির কথা স্বীকার করেন। পরে তার কাছে ট্রেনের বিভিন্ন রুটের আরও ১০৮টি আসনের টিকিট পাওয়া যায়। এসব টিকিট ২১ থেকে ২৫ মার্চের এবং যাত্রাপথ ঢাকা থেকে পার্বতীপুর ও পঞ্চগড়ের। রাতেই তাকে ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হয়।
আটক সাজেদুরের সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জিআরপি থানা কর্তৃপক্ষ। পরে শুক্রবার দুপুরে নৌবাহিনী সদস্যরা এসে বিভাগীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে সাজেদুরকে নিয়ে যান।
অভিযুক্ত সাজেদুর রহমান বলেন, খুলনাতে থাকা অবস্থায় ১০ দিন আগে থেকে এসব টিকিট সংগ্রহ করি। আজ বাড়ি যাচ্ছিলাম। এগুলো আমি অফিসের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছি। আমরা কোথাও যেতে হলে আবেদন দিলে তখন আমাদের ওয়ারেন্ট দেয়। তিনটি ওয়ারেন্ট ব্যবহার করে এই টিকিটগুলো কিনেছি।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বলেন, আমরা রেলওয়ের ১৩০টি টিকিটসহ নৌবাহিনীতে কর্মরত সদস্যকে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে দিনাজপুরে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ঢাকা হেডকোয়ার্টার থেকে তাদের একটি প্রতিনিধি দল আজকে সকালে এখানে আসে। তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা হয়। উভয় ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনা মোতাবেক তারা তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাদের জিম্মায় নিয়ে গেছে। আমরা ১৩০টি টিকিট, ১৪টি সিমকার্ড, তিনটি মোবাইল ফোনসহ আইডি কার্ড জব্দ করেছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক ব হ ন র সদস য ঠ ক রগ র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ১৩০টি টিকিটসহ একজন আটক
ট্রেনের বিভিন্ন রুটের ১৩০টি টিকিটসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশন থেকে তাঁকে আটক করেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সন্ধ্যায় তাঁকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর নাম সাজেদুর রহমান (২৮), বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাধানাথপুর গ্রামে। তিনি ৯ বছর ধরে নৌবাহিনীতে কর্মরত। বর্তমানে খুলনার বিএনএস পদ্মা ইউনিটে ল্যান্স করপোরাল পদে আছেন। ট্রেনের টিকিট ছাড়াও তাঁর কাছ থেকে তিনটি মুঠোফোন সেট ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি সিম কার্ড পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পার্বতীপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন সাজেদুর রহমান। গতকাল সকাল ১০টায় ট্রেনটি ঠাকুরগাঁও স্টেশনে পৌঁছায়। পরে প্ল্যাটফর্মে টিকিট চেকিং করার সময় সাজেদুরের কাছে টিকিট দেখতে চান ট্রেনের টিটি। সাজেদুরের প্রদর্শন করা টিকিটে ২২ জনের আসন নম্বর এবং সরকারি বাহিনীর টিকিট, বিক্রয় নিষেধ লেখা দেখতে পেয়ে টিটি তাঁর পরিচয় জানতে চান। সাজেদুর নিজেকে নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন। এক টিকিটে ২২ জনের আসনের বিষয়ে সন্দেহ হলে তাঁকে ঠাকুরগাঁও জিআরপি থানায় নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাজেদুর টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ সময় তল্লাশি করে তাঁর কাছ ২১ থেকে ২৫ মার্চের বিভিন্ন ট্রেনের ১০৫টি আসনের টিকিট জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ২১ ও ২২ মার্চের দুটি টিকিট (হার্ড কপি) এবং ২৫ মার্চের ২৫টি টিকিটের অনলাইন কপি। আর এসব টিকিটের যাত্রাস্থান ঢাকা থেকে পার্বতীপুর ও পঞ্চগড়।
জিজ্ঞাসাবাদে সাজেদুর জানান, নৌবাহিনীর সদস্যদের জন্য টিকিটগুলো কেনা হয়েছে। এগুলোকে তাঁদের ভাষায় বলা হয় ওয়ারেন্টের টিকিট। অবৈধভাবে তিনি এসব টিকিট কেটেছেন। সম্প্রতি নয়ন নামের এক টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে নেমে টিকিটগুলো মূলত নয়নের হাতে পৌঁছানোর কথা ছিল সাজেদুরের।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বলেন, ‘নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাজেদুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। পরে তাঁকে রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন তারিখের ১০৫টি আসনের তিনটি টিকিট এবং ফোনে ২৫টি টিকিটের অনলাইন কপি উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানের ও ট্রেনের টিকিট বিক্রয়–সংক্রান্ত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। রেলওয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’