যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন শহরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।  হামলায় ইতোমধ্যে ৬০০ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এর মধ্যে অন্তত ২০০ জন শিশু রয়েছে। গাজায় ইউনিসেফের মুখপাত্র রোসালিয়া পোওলিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইসরায়েলের এ নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে দেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রংপুর:
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাংলার চোখ’ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিনকে রক্ষা করো’, ‘ফিলিস্তিনের কান্না আর না, আর না’ স্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাজীপুরে দুই কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাংলার চোখ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন আশরাফী।

পঞ্চগড়:
আজ জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও ঈমান আক্বীদা রক্ষা কমিটিসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলগুলো শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলকারীরা এসময় ‌‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

ঈমান আক্বিদা রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো.

আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় শহর শাখার সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি জুলফিকার রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  

বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করছে। গত কয়েকদিনে সহস্রাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি গণহত্যার শিকার হয়েছেন। বিশ্ব মুসলিমকে জেগে উঠতে হবে। চুপ থাকার সময় শেষ।

সুনামগঞ্জ:
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও ভারতে মুসলমানদের ওপর আগ্রাসের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ জুমার নামাজ শেষে পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সচেতন তাওহীদী জনতার ব্যানারে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতাদের পাশাপাশি  নানা শ্রেণি পেসার মানুষ অংশ নেন।

জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমেরিকা ইসরায়েলকে সবপ্রকার সহযোগিতা করে। তাদের এ দ্বিচারিতা বন্ধ করতে হবে। বক্তারা বিশ্বের সব দেশকে আহ্বান জানান, তারা যেন তারা নীরবতা ভেঙে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান।

গোপালগঞ্জ:
ইসরায়েলের গাজা দখলের চক্রান্ত ও ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালগঞ্জ ওলামা পরিষদ এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। 

জুমার নামাজের পর গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদ এলাকা থেকে  বিক্ষোভ মিছিল বের করে মুসল্লিরা। মিছিলটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে গোপালগঞ্জ কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা তসলিম হোসাইন শিকদার, অ্যাডভোকেট গোলাম মেহেদী খান, এস.এম বাবুল কায়ুম সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বিভিন্ন ইসলামীক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

অপরদিকে, কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও রজমান মাসে নির্বিচারে ফিলিস্তিনি নারী শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল। মুসলিম বিশ্ব এখনো চুপ করে বসে আছে। ইসরাইলি আগ্রাসন দমাতে হবে। পাশাপাশি তাদের পণ্য বর্জন করতে হবে।

রাঙামাটি:
রাঙামাটি শহরের বনরুপা জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও স্টুডেন্টস এন্ড সিটিজেন অব রাঙামাটি। মিছিলটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘুরে বনরুপা পেট্রোল পাম্পে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাঙামাটি জেলার সদস্য মো. জালাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন রাঙামাটি জেলার সভাপতি মো. হোসাইন মল্লিক, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ মুরশীদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলার সভাপতি মো. আবদুস সালাম, ইসলামী ছাত্রশিবির রাঙামাটি জেলার সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাফি।

বক্তারা বলেন, রমজান মাসে ইসরায়েল নিরীহ ফিলিস্তিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করছে। ফিলিস্তিদের জীবন আজ বিপন্ন। মানবতার দূত হিসেবে খ্যাত জাতিসংঘ ইসরায়েলের বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সারা বিশ্বের মুসলিম জনতা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে ইসরায়েল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এসময় ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণারও দাবি জানান তারা।

অপরদিকে বনরুপা জামে মসজিদ মুসল্লি পরিষদের ব্যানারেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে বনরুপা মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বনরুপা জামে মসজিদের খতিব আলহাজ ইকবাল হোসেন আল ক্বাদেরী, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব চৌধুরীসহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার জন্য ইসরায়েলকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে। সেহরি ও ইফতারের সময় বোমা নিক্ষেপ করে হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে, অনেককে আহত করা হচ্ছে। আমরা মুসলিম বিশ্বের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে ইসরাইলকে নিষিদ্ধ রাষ্ট্র ঘোষণা করার।

টাঙ্গাইল:
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শুক্রবার  জুমার নামাজ শেষে মিছিল বের করে তারা। সেটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় তাদের বিভিন্ন ধরনের ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ছাত্রশিবিরের টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, অর্থ সম্পাদক আব্দুল আলিম। 

বক্তারা বলেন, ইসরায়েল ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষকে হত্যা করছে। তাদের হামলায় যারা মারা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই শিশু এবং নারী।  ইসরায়েলের চালানো হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি দ্রুত গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এসময় ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা। শহরের শান্তিমোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বিশ্বরোডে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে গাজাবাসীর শান্তি ও ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করে মোনাজাত হয়।

সামাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের ইহুদিরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজার মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এর ফলে সেখানকার নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অনাহারে দিন কাটছে তাদের। সেখানকার মানুষরা মৌলিক চাহিদা থেকেও বঞ্চিত। এখন পৃথিবীর মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোথায়? বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ গঠন করা হয়েছে। এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে তারা কোনো কথা বলেনি। আমরা এসবের জবাব চাই।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহিন খান, মুত্তাসিন বিশ্বাস, শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ ও মাহফুজ, রামকৃষ্টপুর মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, কোর্ট মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. সুলতান আলী, আরামবাগ মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. জাহিদ। 

পাবনা:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার উদ্যোগে শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা পাবনার চাপা বিবি ওয়াকফ মসজিদের সামনে থেকে  বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পাবনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইন্দারা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

সেখানে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার আহ্বায়ক বরকতউল্লাহ ফাহাদ, মুখ্য সংগঠক ইউসুফ আরফান বিপ্লব, যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজুর হোসেন রাতুল, শফিকুল ইসলাম শাকিল, রাসেল আহমেদ।

বক্তরা বলেন, ‍“সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের দোসররা বলে, তারা নাকি শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী। অথচ তারাই বিশ্বে অশান্তি প্রতিষ্ঠাকারী। যদি বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গণহত্যা বন্ধ না হয় এবং মুসলিম উম্মাহ যদি জিহাদের ডাক দেয় আমরা সেই জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত আছি।

সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির শহর শাখার সভাপতি আল মামুন।

আল মামুন বলেন, ‍“চার শতাধিক ঘুমন্ত ও সেহেরিরত ফিলিস্তিনি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বিশ্ব মানবতার এই দুর্দিনে আমাদের সবাইকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহু সরকার ও ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”

বিক্ষোভ মিছিল আরো উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু তালেব ও আনিছুর রহমান,সাতক্ষীরা শহর শাখার অফিস সম্পাদক নূরুন্নবী, অর্থ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

নেত্রকোণা:
নেত্রকোনা বড়বাজার শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জেলা খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তরা বলেন, গাজায় নিরীহ মুসলমানদের হত্যা ও ভারতে মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমরা এই নৃশংসতা বন্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করছি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মোতালিব খান ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বীন ইয়ামিন। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মুহাম্মাদ আবদুর রহীম রুহী।

এদিকে, বাদ জুমা মোক্তারপাড়া বড় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নেত্রকোণা জেলা শাখার উদ্যোগে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৪৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি থাকলেও গত মঙ্গলবার থেকে নির্বিচারে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। 

ঢাকা/আমিরুল, নাঈম, মনোয়ার, বাদল, শংকর, কাওছার, মেহেদী, শাহীন, শাহীন, সোহেল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ম ছ ল ব র কর ম ছ ল ব র হয় ল দ শ ইসল ম গ প লগঞ জ ইসর য় ল র গণহত য র দ র স মন দ র ওপর শহর র ব শ ষ হয় ত হয় ছ বক ত র ন সড়ক বর বর স গঠন শহর শ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ বলা কেন বিভ্রান্তিকর

২ এপ্রিল প্রথম আলো অনলাইনে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড কি জেনোসাইডের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। লেখক আরিফ রহমান প্রবন্ধটিতে দাবি করছেন, ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ে সংঘটিত সহিংস নিধনযজ্ঞকে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত গণহত্যা বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত’...বা ‘একাডেমিক ও নৈতিক যুক্তিতে এ ঘটনা যে গণহত্যা, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।’

লেখক জেনোসাইড কনভেনশনের সংজ্ঞার কথা উল্লেখ করলেও নামজাদা কয়েকজন গবেষকের সংজ্ঞা ও মডেল ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। আরিফের লেখার মূল যে স্পিরিট—‘রাষ্ট্র পরিচালিত নিষ্ঠুর বলপ্রয়োগ যে কতটা ভয়ংকর রূপ নিতে পারে, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ঘটনাই তার এক গভীর শিক্ষা’-এর সঙ্গে পরিপূর্ণ একমত হয়েও তাঁর অবস্থানের আইনি/যৌক্তিক দুর্বলতা ও এর সম্ভাব্য পরিণতির আশঙ্কা থেকে এই লেখার অবতারণা।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে ‘গণহত্যা’ শব্দের দুই ধরনের ব্যবহার রয়েছে। প্রথমত, রাজনৈতিক রেটরিক অর্থে ‘গণহত্যা’ দিয়ে আসলে বোঝানো হয়ে থাকে একসঙ্গে একের অধিক মানুষকে হত্যা করা; সেখানে ইংরেজি ‘ম্যাসাকার’ বা ‘মাসকিলিং’ অর্থে এটা ব্যবহৃত হয়।

ষাটের দশক থেকে আজতক এ ভূখণ্ডে যেকোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, যেখানে একের অধিক লোক মারা গেছেন, সব কটাকেই রাজনৈতিক পরিসরের জনপ্রিয় বুলিতে ‘গণহত্যা’ বলা হয়ে থাকে। মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা সংঘটনের বহু আগেও যেমন রাষ্ট্রীয় সহিংসতা/হত্যাযজ্ঞ বোঝাতে ‘গণহত্যা’ শব্দের ব্যবহার পাওয়া যায়, তেমনি বর্তমানে পিলখানা বা শাপলার রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞের ক্ষেত্রে ‘গণহত্যা’ সম্বোধনও বহুল প্রচলিত। এখানে গণহত্যা ও মাসকিলিং আসলে সমার্থক।

 এর বাইরে দ্বিতীয় আরেক ধরনের ব্যবহার রয়েছে: ‘জেনোসাইড’ অর্থে। ‘জেনোসাইড’–এর অর্থ ও সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইন বা জেনোসাইড কনভেনশনে খুবই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অভিধান থেকে শুরু করে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ‘জেনোসাইড’–এর পরিভাষা হিসেবেও ‘গণহত্যা’ ব্যবহারের চল রয়েছে।

কিন্তু আইনে জেনোসাইডের সংজ্ঞায় যে কয়েকটা অপরাধমূলক কাজ বা অ্যাক্টকে জেনোসাইড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, তাতে হত্যা বা মাসকিলিং আরও অনেকগুলো অপরাধের একটি। সেখানে দেখা যায়, কাউকে ‘হত্যা’ না করেও আসলে ‘জেনোসাইড’ চালানো সম্ভব, কেননা সেখানে হত্যার বাইরে আরও কিছু অপরাধমূলক কাজের উল্লেখ রয়েছে, যেমন, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন বা জোরপূর্বক জন্মদানে বাধা প্রদান বা এক গোষ্ঠীর শিশুদের অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর।

কিন্তু ‘গণহত্যা’ ব্যবহার করলে কেবল ‘হত্যা’কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়, ফলে বাংলাদেশের অনেকেই জেনোসাইডের পরিভাষা হিসেবে গণহত্যা ব্যবহার না করে সরাসরি জেনোসাইড বা গোষ্ঠীনিধন/বা জাতিনিধন বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

আরিফ রহমান তাঁর কলামে চব্বিশের হত্যাকাণ্ডকে যে ‘গণহত্যা’ বলতে চান, সেটা আসলে ‘জেনোসাইড’ অর্থে। রাজনৈতিক রেটরিক অর্থে ইতিমধ্যে এটা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বহুল প্রচলিত হয়ে গেছে। কিন্তু ‘জেনোসাইড’ অর্থে একে ‘গণহত্যা’ বলাটা বিভ্রান্তিকর। কেন, সেটা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা যাক।

প্রথমত, ‘জেনোসাইড’ হচ্ছে গোষ্ঠীকেন্দ্রিক অপরাধ। আরিফ রহমানও বলছেন, ‘একটি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পিত অভিযান’। ‘জেনোসাইড’ শব্দের প্রবর্তক রাফায়েল লেমকিন থেকে শুরু করে জেনোসাইড কনভেনশন হয়ে প্রায় প্রত্যেক গবেষক পর্যন্ত এ বিষয়ে একমত।

১৯৪৮ সালে জেনোসাইড কনভেনশনে যখন এই আইন চূড়ান্ত হচ্ছে, তখন বহু বাহাসের পর গোষ্ঠীর চারটি বর্গকে ‘সুরক্ষিত গোষ্ঠী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে: জাতীয়, নৃগোষ্ঠী, জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠী; অর্থাৎ, এই চার বর্গের কোনো গোষ্ঠীকে আংশিক বা পূর্ণ ধ্বংস করার নিয়তে (ইনটেনশন) যদি কিছু নির্দিষ্ট অপরাধমূলক কাজ করা হয়, তাহলে সেটা জেনোসাইড হবে।

এই ‘গোষ্ঠী পরিচয়’–এর নির্দিষ্টতাই অপরাপর অপরাধ থেকে একে পৃথক করে। আন্তর্জাতিক আইনে কেন ‘রাজনৈতিক’ বর্গ নেই, সেটা নিয়ে পরবর্তীকালে বহু গবেষক প্রশ্ন তুলেছেন, সমালোচনা করেছেন। কিন্তু, লিও কুপারসহ সবাই বাস্তবিক কারণেই এই আইনকে আলাপের রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে নিয়ে থাকেন।

এখন চব্বিশের ঘটনায় ভিকটিমরা (ভুক্তভোগী) আন্তর্জাতিক আইনের সংজ্ঞার আওতায় পড়েন না। অর্থাৎ, কেবল জাতীয়, নৃগোষ্ঠী, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার কারণে কেউ হত্যাযজ্ঞ বা ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হননি। আরিফ রহমান সে কারণে আন্তর্জাতিক আইন ধরে আলাপ না করে বিভিন্ন গবেষকের মারফতে আলোচনা করেছেন, যাঁরা ‘রাজনৈতিক’ বর্গের অনুপস্থিতির কারণে জেনোসাইডের সংজ্ঞার সমালোচনাও করেছেন বা তাদের আলোচনার সুবিধার্থে সংজ্ঞাকে খুবই শিথিল আকারে ব্যবহার করেছেন।

আরিফ যে গ্রেগরি স্ট্যান্টনের ৮টি (পরে স্ট্যান্টন আরও দুটো ধাপ বাড়িয়েছিলেন) ধাপের মডেল ব্যবহার করেছেন, সেই গ্রেগরি স্ট্যান্টনও কিন্তু কনভেনশনের সংজ্ঞা ও পরিচয়ের ওই চারটি বর্গকে কবুল করেই আলোচনা করেছেন। তিনি কেবল জেনোসাইডকে একটা প্রক্রিয়া হিসেবে কিছু ধাপে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, যেন এটা আগে থেকে মোকাবিলা করা যায়।

অন্যদিকে, আরিফ যদি গবেষকদের বরাত দিয়ে ‘রাজনৈতিক’ বর্গকে অন্তর্ভুক্ত করতেও চান, তাহলেও চব্বিশের সহিংসতাকে এটাতে আটানো সম্ভব হবে না। কারণ, কোনো নির্দিষ্ট ‘রাজনৈতিক’ দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ছিল না।

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্যই ছিল, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা ব্যানারের বাইরে গিয়ে এটা সংঘটিত হয়েছে। তাদের নানা ধরনের রাজনৈতিক মতামত থাকলেও, বা একটা বিশেষ মুহূর্তে একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে সমাবেশ তৈরি হলেও, এটাকে নির্দিষ্ট ‘রাজনৈতিক’ গোষ্ঠী বলা সম্ভব হবে না।

প্রথমত, এখানে যেকোনো সুরক্ষিত গ্রুপ বা গোষ্ঠী হওয়ার জন্য সেটাকে স্থায়ী (পারমানেন্ট) ও স্থিতিশীল (স্টেবল) হতে হবে; রুয়ান্ডা ও যুগোস্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলোয় গোষ্ঠী প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণত জন্মসূত্রে নির্ধারিত হবেন যা সহজে পরিবর্তনযোগ্য নয়।

দ্বিতীয়ত, আরিফ যেভাবে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে জনতাকে ‘রাজনৈতিক’ গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরতে চান, সেটা করতে গেলে ‘রাজনৈতিক’ বর্গ এতই শিথিল হয়ে পড়ে যে আইনের দিক থেকে এটা আর অর্থবহ থাকে না। যেকোনো দলবদ্ধ গোষ্ঠীকে আসলে সে অর্থে ‘রাজনৈতিক’ বলা সম্ভব, এমনকি অনেক জাতীয় বা নৃগোষ্ঠীকেও কেউ কেউ রাজনৈতিক নির্মাণ বলেও সাব্যস্ত করতে পারবেন।

এটাও উল্লেখ করা জরুরি যে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংজ্ঞায় পূর্বে ‘রাজনৈতিক’ বর্গ অন্তর্ভুক্ত ছিল, সেটা অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সংশোধনীর মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন, এটা বাদ না দিলে আমাদের আইন অনুযায়ী চব্বিশের সহিংসতাকে ‘জেনোসাইড’ বলা যেতে পারত! কিন্তু, ওপরে এটাই বলার চেষ্টা করা হলো যে ‘রাজনৈতিক’ বর্গ থাকলেও চব্বিশের সহিংসতাকে ‘জেনোসাইড’ বা জেনোসাইড অর্থে গণহত্যা বলা সম্ভব নয়।

তৃতীয়ত, চব্বিশের সহিংসতাকে ‘জেনোসাইড’ না বললে কি অপরাধকে লঘু করা হয়? আমাদের উত্তর হচ্ছে, না। জেনোসাইডকে ‘ক্রাইম অব অল ক্রাইমস’ বলে সাব্যস্ত করার যে বহুল রেওয়াজ রয়েছে, তাতে মনে হয়, আইনে বুঝি একধরনের অপরাধের ক্রমবিন্যাস বা হায়ার্কি রয়েছে!

এটা ঠিক যে আন্তর্জাতিক আইনে জেনোসাইড প্রমাণের মানদণ্ড খুব উঁচু, কোনো ঘটনাকে জেনোসাইড প্রমাণ করতে খুব কসরত করতে
হয়। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যেকোনো হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’–এর খোপে ঢোকানোর প্রয়াস খুব লক্ষণীয়।

সম্প্রতি গবেষকেরা (যেমন ডার্ক মোজেস) বলছেন, এই মনোভাব মানে এটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ এবং সবকিছু এটাতে অন্তর্ভুক্ত করার যে প্রবণতা, তা আদতে ক্ষতিকর। এটা বিভিন্ন সহিংসতা ও অপরাধের বিবিধ মাত্রাকে কাটছাঁট করে, তার ধরন ও প্রকৃতিকে ঠিকঠাকমতো বুঝতে দেয় না।

ফলে হত্যাযজ্ঞমাত্রই ‘জেনোসাইড’ বা সে অর্থে গণহত্যা বলে দাবি করলে, একদিকে যেমন গণহত্যা/জেনোসাইড বর্গ হিসেবে অর্থহীন হয়ে উঠে, তেমনি যেসব ঘটনা আসলেই জেনোসাইড, সেগুলো লঘু হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেকেই হরেদরে ঘটনাকে জেনোসাইড ব্যবহার করতে সতর্ক করেন।

চব্বিশের ঘটনাকে যদি জেনোসাইড অর্থে গণহত্যা না বলি, তাহলে অপরাধের কোন ব্যানারে আলোচনা করা যেতে পারে? আরিফ নিজেও তাঁর লেখায় যেসব প্রতিবেদনের কথা বলছেন, সেখানেও এর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া আছে। যেমন জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে এবং পুরো প্রতিবেদনে নানা কায়দায় সেটাকেই প্রমাণ করা হয়েছে। চব্বিশের সহিংসতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করাই যৌক্তিক ও সঠিক। এটাকে জেনোসাইড অর্থে গণহত্যা বললে মারাত্মক আইনি বিভ্রান্তি তৈরি হবে।

তাই আমরা মনে করি যে আন্তর্জাতিক আইনে কোনোভাবেই চব্বিশের সহিংসতাকে ‘জেনোসাইড’ বলে প্রমাণ করা যাবে না। এটাকে জোর করে যদি ‘জেনোসাইড’ অর্থে গণহত্যা বলা হয়ে থাকে, তাহলে কিছুদিন পর মূল অপরাধীরাই বলতে শুরু করবেন যে এটাকে গণহত্যা হিসেবে প্রমাণ করা যাবে না; ফলে নৈতিকভাবে দায়মুক্তি ঘটেছে বলে প্রচারণার সুযোগ পাবেন।

এ রকম তৎপরতা থেকে এ ধরনের ‘ভুল’ চিহ্নায়ন দুই তরিকার বিপদ ঘটাবে। এক. খোদ চব্বিশের সহিংসতাকে পুরোপুরি বুঝতে সহায়ক হবে না এবং অপরাধীদের প্রচারণার সুযোগ করে দেবে; দুই. যেগুলো আসলেই ‘জেনোসাইড’মূলক ঘটনা, সেগুলোকে লঘু করে তুলবে।

সহুল আহমদ লেখক ও গবেষক

উম্মে ওয়ারা সহযোগী অধ্যাপক, ক্রিমিনোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মার্চ ফর গাজা’ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঐক্য: সারজিস
  • গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীতে জনতার ঢল
  • গণহত্যার প্রতিবাদে সরব বাংলাদেশ
  • গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন দাবি
  • ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ 
  • গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাসদের বিক্ষোভ
  • ইসলামী আন্দোলনকে বাইপাস করে সংসদে যাওয়ার সুযোগ নেই: চরমোনাই পীর
  • গাজায় গণহত‌্যা: জিএম কা‌দে‌রের নেতৃ‌ত্বে রাজধানী‌তে বি‌ক্ষোভ
  • ‘ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের জিহাদ শুরু করতে হবে’
  • জুলাই হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ বলা কেন বিভ্রান্তিকর