পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের চার মাসের মধ্যে লাশ হলো কিশোরী গৃহবধূ মাফিয়া (১৬)। শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা বলছেন সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বাবার পরিবারের দাবি, স্বামী মেহেদী হাসান তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজাচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কুয়াকাটা পৌর এলাকার পাঞ্জুপাড়ায় মাফিয়ার শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মাফিয়া একই গ্রামের হারিছ হাওলাদারের মেয়ে।

মাফিয়ার পরিবার জানায়, চার মাস আগে পারিবারিকভাবে কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে মেহেদী হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয় মাফিয়ার। বিয়ের পর থেকেই মেহেদী তাকে নির্যাতন করে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোটবোন মারিয়া বোনের বাড়িতে যায়। বাড়ি ফিরে সে জানায় ওই বাড়িতে মাফিয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেদী শ্বশুর হারিছ হাওলাদারকে ফোন দিয়ে জানায়, মাফিয়া গলায় দড়ি দিয়েছে। এ খবর শুনে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে মাফিয়াকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে মেহেদী ও তার পরিবার গা ঢাকা দিয়েছে। 

মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তাই অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রনায়িকা বর্ষা যে কারণে অভিনয় ছাড়ার কথা বললেন

ব্যবসায়ী ও চিত্রনায়ক স্বামী অনন্ত জলিলের প্রযোজিত ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবিতে অভিনয়ে দেখা যায়নি চিত্রনায়িকা বর্ষাকে। হাতে রয়েছে তাঁর কয়েকটি ছবি। এই চিত্রনায়িকা দুই সন্তানের মা। এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বর্ষা জানিয়েছেন, তিনি নায়িকাজীবন থেকে সরে যাবেন, পরিবারকে সময় দেবেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্বামী অনন্ত জলিলের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে গণমাধ্যমের সামনে অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন বর্ষা। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘হাতে কয়েকটি ছবি আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো ছবি করব না।’

অনন্ত জলিল ও বর্ষা

সম্পর্কিত নিবন্ধ