এক সময় বলিউডে ‘ক্যাসানোভা’ তকমা পেয়েছিলেন রণবীর কাপূর। একাধিক প্রথম সারির অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি বার বার প্রেমের সম্পর্কের কারণে শিরোনামে এসেছেন তিনি। যদিও ২০২২ সালে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সঙ্গে বিয়ে সারেন রণবীর। তার মাস কয়েকের মধ্যে তাঁদের জীবনে আসে কন্যা রাহা। এখন স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ঘোরতর সংসারী রণবীর। যদিও আলিয়াই কিন্তু রণবীরের প্রথম স্ত্রী নন। আলিয়ার আগে আর এক নারীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর! মন্ত্রপাঠ করে পুরোহিতের সামনে অগ্নিসাক্ষী রেখেই হয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর কথা স্বীকার করে নিলেন ঋষি-পুত্র।

ঘটনাটা বেশ কয়েক বছর আগের। তখন সদ্য বলিউডে পা রেখেছেন। প্রথম থেকেই রণবীরের মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা ছিল অন্য তারকাদের কাছে ঈর্ষণীয়। এক মহিলা অনুরাগী তাঁর বাড়ির সামনে যান। বাড়ির সদর দরজার বাইরে রীতিমতো যজ্ঞ করে পুরোহিত নিয়ে এসে রণবীরের ছবি হাতে নিয়ে অগ্নিসাক্ষী রেখে বিয়ে করেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর নিজেই জানান, তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রীকে দেখেননি এখনও।

রণবীরের কথায়, ‘‘যে সময় মেয়েটি আমার বাড়ির সামনে এসে এই গোটা কর্মকাণ্ড ঘটান, আমি তখন বাইরে ছিলাম শুটিংয়ের কাজে। আমি দারোয়ানের কাছে সবটা জানতে পারি। বিয়ের পর্ব মিটিয়ে মেয়েটি নাকি দরজায় তিলক দিয়ে এবং একগোছা ফুল রেখে যান। যদিও আমার প্রথম স্ত্রীকে চোখে দেখিনি।’’সূত্র: আনন্দবাজার।   
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল য় ভ ট রণব র ক প র র প রথম স ত র রণব র র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন বিসিএস নবম গ্রেডের মতো ও যোগ্যতা স্নাতক করার সুপারিশ

সাংবাদিকদের প্রবেশপদের ন্যূনতম বেতন বিসিএস কর্মকর্তাদের মতো নবম গ্রেডে করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করতে বলেছে কমিশন।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা তাঁদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন।

পরে যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন কমিশনপ্রধান কামাল আহমেদ। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কামাল আহমেদ বলেন, তাঁরা সাংবাদিকতায় সুরক্ষায় আইন করার সুপারিশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সুরক্ষা অধ্যাদেশের একটি খসড়াও করে দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দরকারের বিষয়েও সুপারিশ করেছে কমিশন। এ বিষয়ে কামাল আহমেদ বলেন, বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশপদ, অর্থাৎ নবম গ্রেডের বেতন স্কেলের সঙ্গে সংগতি রেখে সাংবাদিকদের প্রবেশপদের বেতন হতে পারে। সারা দেশের সাংবাদিকদের জন্য এটি হতে পারে। তবে ঢাকায় যেহেতু জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি, সে ক্ষেত্রে ঢাকার সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে ‘ঢাকা ভাতা’ যোগ করা হতে পারে। সারা দেশে সাংবাদিকেরা যে বেতন পাবেন, ঢাকার ক্ষেত্রে এই ভাতা যোগ হবে। এই ভাতা ঠিক করবে সরকার ও সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন পক্ষ মিলে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নবম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মূল বেতন শুরু হয় ২২ হাজার টাকা দিয়ে। এর সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা যোগ হয়। সব মিলিয়ে এই বেতন হয় ৩৫ হাজারের বেশি।

এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হবে, তা জানতে চাইলে কামাল আহমেদ বলেন, শুধু সাংবাদিক নয়, সম্পাদক ও প্রকাশকের যোগ্যতা কী হবে, সেই তিনটি বিষয়েও বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা একটি শর্তও যুক্ত করেছেন। সেটি হলো, এক বছর শিক্ষানবিশ থাকার পরে পূর্ণ সাংবাদিকের মর্যাদা পাবেন। এ রকমভাবে গণমাধ্যম নিয়ে আরও বিভিন্ন সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।

কামাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকার সবাই এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে।’

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ