গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘যৌন হয়রানির শিকার’ তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে সহযোগিতা ও বিচার নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এ কথা জানান তিনি। এ ছাড়া দলটির পক্ষ থেকে শিশুটির পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়েছে।

বিএনপির নিপীড়িত নারী ও শিশুদের আইনি ও স্বাস্থ্যসহায়তা সেলের গাজীপুর জেলার সমন্বয়কারীর দায়িত্বে আছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি শিশুটির বাড়িতে গিয়ে পরিবারটির খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁরা যৌন হয়রানির শিকার শিশুটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু অর্থ সহযোগিতা নয়, সুষ্ঠু বিচার পেতে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকবে দলটি। এ ছাড়া শিশুটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেহ উদ্দিনের (৬৫) বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে তাঁকে পুলিশের হতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামি মোসলেহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ন হয়র ন ব এনপ র সহয গ ত

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, ৫০ বছরের দিদারুল আলম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দিদারুল আলম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। 

গ্রেপ্তার দিদারুল আলম বোয়ালখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরখিদিরপুর গ্রামের নবাব আলী সওদাগর বাড়ির মৃত গোলাম নবীর ছেলে। 

ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে জমি থেকে মেয়েকে লতাপাতা আনার জন্য পাঠিয়ে ছিলাম। সে লতাপাতা না চেনায় ওইখানে থাকা এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে। সে লতাপাতা দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে একটি ঘরে নিয়ে হাত-পা বাঁধতে চাইলে মেয়ে ভয়ে চিৎকার দেয়। পরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি চলে আসে এবং বিষয়টি আমাদের জানায়। এ ঘটনার বিচার চাই।’

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত দিদারুল আলমকে শনাক্ত করা হয়। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি জানান, এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে। তাকে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ