দেশজুড়ে আলোচিত প্রতারক হিসেবে পরিচিত শতাধিক প্রতারণা মামলার আসামি মশিউর রহমান খান বাবুকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার আফতাব নগর থেকে ওই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক মশিউর রহমান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মোতালেব আলী খানের ছেলে।

ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শতাধিক প্রতারণা মামলার আসামি মশিউর রহমান ঢাকার আফতাব নগর অবস্থান করছেন নিশ্চত হয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় ওই স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “মশিউর রহমান খান বাবু ভয়ঙ্কর এক প্রতারক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে কোটালীপাড়া থানায় ২০টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এসেছে। সেই পরোয়ানার আলোকে আমরা মশিউর রহমান বাবুকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি।”

ওসি আরো বলেন, “মশিউর রহমান বাবু প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এর আগে বাবুকে সিআইডি, ডিবি, র‌্যাব প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠালেও আইনের ফাঁক গলে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর আবারও প্রতারণা শুরু করেন।”

ঢাকা/বাদল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর শত ধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় শ্লীলতাহানি, অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা স্কুলছাত্রীর

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অপমানে স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা–যাওয়ার সময় প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় তিন বখাটে তরুণ। এ বিষয়ে সামাজিকভাবে বিচার চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে গতকাল রাতে ঘর থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। পরিবারের সদস্যরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ছাত্রীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে খুবই অসুস্থ। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। অভিযুক্ত তিনজন এলাকায় অনেক অপকর্মে জড়িত বলে জানান তিনি।

ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্রীটি মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে। অভিযুক্ত ছেলেগুলো এলাকায় বখাটেপনা করে বেড়ায়। মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম আজ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, উত্ত্যক্ত ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ