সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চাল ও ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও মানভেদে গড়ে চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন বাজারে মোটা চাল (বিআর ২৮) বিক্রি ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, মানভেদে মিনিকেট ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি চালের দাম ৭০ থেকে ৭৬ টাকা, চিনি গুঁড়া পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়।
এদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে সোনালি মুরগির দাম। গত সপ্তাহের যে সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় তা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এখন বাজারে বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০, বড় সাইজের ফুলকপির জোড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ থেকে টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৫০, দেশি শশা ৪০, বরবটি ৯০, ঢেঁড়স ৭০, জালি কুমড়া ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া পিস ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০, রসুন ২৩০ ও দেশি আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। চাষের পাঙাশ কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০, কৈ ২২০, শিং ৫০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হোসেন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘আমরা মাংস বলতে ব্রয়লার মুরগি বুঝি, ঈদ ছাড়া গরুর মাংস কেনা হয় না। সপ্তাহে একদিন মুরগির কিনি কিন্তু এখন আবারো দাম বাড়লো। কিছু করার নেই কম নিতে হবে। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য পারছে না।’’
রাজধানীর নিউমার্কেটর সাওন মিনিট হাউজের স্বত্বাধিকারী সাওন মিয়া রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মুরগির দাম একটু বেশি। কারণ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম। তবে সরবরাহ ঠিক হলে দাম স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’’
ঢাকা/রায়হান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রগ র দ ম সরবর হ র ম রগ
এছাড়াও পড়ুন:
এবার লোডশেডিং নেই সেলাই কারিগররা খুশি
ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের সেলাই কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেছেন, গতবার ঘন ঘন লোডশেডিং হতো। বিদ্যুৎ চালিত সেলাই মেশিন বন্ধ করে বসে থাকতে হতো। কিন্তু এবার লোডশেডিং নেই বলে নির্ধারিত তারিখেই গ্রাহকদের পোশাক সরবরাহ করা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার শহরের পোশাক বিপণি এলাকা ঈশা খাঁ রোডে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ঢাকা টেইলার্সের কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, কারিগর হযরত আলী, জসিম উদ্দিন, রোমান মিয়া, নিটোলসহ সবাই কাজে ব্যস্ত। কেউ কাপড় সেলাই করছেন, কেউ-বা ইস্ত্রি। এবার তাদের আয় গতবারের তুলনায় বেশি হবে বলে জানালেন কারিগররা। রোমান ও নিটোল গত রমজানে আয় করেছিলেন ১৮ হাজার টাকা করে। এবার ২৫ হাজার টাকা আয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন। হযরত আলী ও জসিম গত রমজানে আয় করেছিলেন ১৫ হাজার টাকা করে। এবার ১৮ হাজার টাকা আয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন। তবে প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, ১৫ রমজান পর্যন্ত লোকসমাগম তুলনামূলক অনেক কম ছিল। এখন বেড়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠানে গতবার কারিগর ছিলেন ১৪ জন। এবার কমে হয়েছে ৯ জন। এ কারণেও প্রত্যেক কারিগরের ভাগে কাজ বেশি পড়েছে বলে আয় গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি হবে। লোডশেডিং বিষয়ে তিনিও স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, গত বছর লোডশেডিংয়ের কারণে কাজের প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটত। এতে হাতের কাজ জমে থেকে চাপ বেড়ে যেত। সময়মতো পোশাক সরবরাহ করা যেত না। এবার তেমনটা হচ্ছে না।
ঈশা খাঁ রোডের বরকতী ফেব্রিকসের মালিক সিরাজুল হক জানিয়েছেন, তাঁর দোকানে এখন বেচাকেনা বেশ ভালো। ঈদ আসতে আসতে ক্রেতার সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে ধারণা করছেন।
জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মুজিবুর রহমান বেলাল বলেন, এবার লোডশেডিং নেই।
আগামী রোববার থেকে ফুটপাতসহ সব মার্কেটেই বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে। শপিংমলের চেয়ে ফুটপাতে ক্রেতার ভিড় কম নয়। ঈদ সামনে রেখে যেন এই স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের কোনো রকম হয়রানি না করা হয়, এমনটাই তাঁর প্রত্যাশা।