যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দর আজ শুক্রবার সারা দিন বন্ধ থাকছে। এ কারণে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে।

বিমানবন্দরটির কাছের একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর হিথরো কর্তৃপক্ষ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

উপকেন্দ্রটি থেকে হিথরো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

উপকেন্দ্রে আগুনের কারণে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথরোতে ব্যাপক বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দেয়।

বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর বন্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে।

বিমানবন্দরটি বন্ধের কারণে আজ ১ হাজার ৩০০টি বেশি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রটির আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী কাজ করছেন।

হিথরো বিমানবন্দরের কাছের বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপক ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

পানি নেই ঝিরি-ঝরনায় সংকটে দুর্গম গ্রামবাসী

রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ির দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। সুপেয় পানি থেকে নিত্য ব্যবহার্য পানিও মিলছে না। গ্রীষ্মের তাপদাহে শুকিয়ে গেছে পাহাড়ি ছড়া ও ঝরনা। লোকজনের একমাত্র ভরসা ছিল কুয়ার পানি। সেখানেও স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এখন ঝিরি থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি সংগ্রহের চেষ্টা করছেন পাহাড়ি মানুষ। 
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুকিছড়া, ত্রিপুরাপাড়া, জনতাপাড়া, বারুদগলা, সোহেল পাড়ায় সবচেয়ে বেশি পানি সংকট চলছে। এসব গ্রামে ২৪৭ পরিবারের বাস। তাদের পেশা কৃষি (জুম চাষ)। এসব পাড়ায় নেই বিদ্যুৎ। চিকিৎসা সেবার জন্য নেই কমিউনিটি ক্লিনিক। এই ওয়ার্ডে নেই নিরাপদ পানির কোনো নলকূপ। 
এসব গ্রামের পাদদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে পানছড়ি ছড়া। এই ছড়ার রয়েছে ছোট প্রশাখা ছড়া। কিন্তু বর্তমানে গ্রামের ছড়াগুলো শুকিয়ে মরা ছড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পাড়াগুলো পাহাড়ের চূড়ায় হওয়ায় প্রায় ৫০০-৮০০ ফুট নিচে নামলে ছোট ঝিরি বা ঝরনার দেখা মেলে। ঝিরিগুলো থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি সংগ্রহের চেষ্টা করছেন পাহাড়ি মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, আগের মতো বড় বড় গাছ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে ছোট ছোট ঝিরি-ঝরনাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্ড সদস্য অরুণ চাকমা বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে পাহাড়ে মানুষের জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পানি সংকট পাহাড়ের জীবনকে আরও খারাপ করেছে।’
কুকিছড়া, সোহেল পাড়া কার্বারি কিরণ জয় চাকমা বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুম এলেই আমাদের এলাকায় খাবারের চেয়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট চরম অবস্থায় পৌঁছায়। পাড়ার নারীরা প্রতিদিন পাড়া থেকে কয়েকশ ফুট নিচে নেমে খাবার পানি, গৃহস্থালি কাজের ও রান্নার পানি সংগ্রহ করছেন।’
স্থানীয় মলকা বানু চাকমা, রঞ্জিতা চাকমা বলেন, ‘গ্রীষ্মকাল এলে আমাদের গোসলের কথা ভুলে যেতে হয়। দুই-তিন দিন পরও গোসল করতে পারি না। সপ্তাহে একবার গোসল করতে পারলেও এক-দুই লিটার পানি দিয়েই সারতে হয়।’
শুধু জুরাছড়ি ইউনিয়ন নয়, নিরাপদ পানির সংকট চলছে বনযোগীছড়া ইউনিয়নের বালিশ পাড়া, ছোট পানছড়ি, এরাইছড়ি। মৈদং ইউনিয়নের আমতলা বাদলহাটছড়া, জামুরাছড়ি, কাঁঠাল তুলি।  দুমদুম্যা ইউনিয়নে করল্যাছড়ি, দুলুছড়ি, শিমাইতুলি ও তেছড়িতেও। 
উন্নয়নকর্মী পলাশ খীসা বলেন, ‘গ্রামগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নিরাপদ পানির সংকট তৈরি হয়েছে। পানি সংকট কৃষি খাদ্যের ওপরও ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। তীব্র গরম ও পানির সংকটে গবাদি পশুর মৃত্যুও বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝিরি ও ছড়াগুলো রক্ষায় সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এসব ছড়া-ঝিরির চারপাশে সবুজ বনায়নে উদ্যোগ নিতে হবে। তাতে পানির উৎস বাড়বে।’
জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন চাকমা বলেন, ‘৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবছরই গ্রীষ্মকালে পানির সংকট দেখা দেয়। মানুষ অনিরাপদ পানি ব্যবহার করায় দেখা দেয় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। চাহিদার তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত গাছগাছালি কাটছেন মানুষ। বাণিজ্যিকভাবে সেগুন চাষ পানি সংকট বাড়াচ্ছে। কারণে সেগুন গাছের কারণে পাহাড় শুকিয়ে যায়।’
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন 
দপ্তর গ্রেভিটি ফ্লো সিস্টেম (জিএফএস), সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পাত কুয়া থেকে পানি সরবরাহে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিলেও তাতে চলছে দীর্ঘসূত্রতা। পানি সংকট নিরসনে সরকারি–বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর এগিয়ে জরুরি। 
উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রকি দে পানি সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘দুর্গমতার কারণে এসব এলাকায় পরিবহনে পানি সরবরাহে অতিরিক্ত খরচ হয়। আমরা দুর্গম এসব এলাকার পানি সংকট নিরসনে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিং ওয়েল ও গ্রেভিটি ফ্লো সিস্টেম (জিএফএস) প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছি।’ 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা
  • ইউক্রেনে গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ চায় যুক্তরাষ্ট্র
  • ধরা পড়ছে না ইলিশ, জেলেদের দিন কাটছে অর্থকষ্টে
  • নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত সংস্কারের তাগিদ
  • আদানির সরবরাহ কমে লোডশেডিং বেড়েছে
  • খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে যা ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • পানি নেই ঝিরি-ঝরনায় সংকটে দুর্গম গ্রামবাসী
  • বিল সই করতে ভারতের রাষ্ট্রপতিকেও তিন মাস সময় বেঁধে দিলেন সুপ্রিম কোর্ট
  • শুরু হচ্ছে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা, খুশি জেলেরা
  • পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, পদ ২৭৭