বিশ্ব অ্যাথলেটিকস ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন জহির রায়হান। কিন্তু চীনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত ৪০০ মিটার দৌড়ে হিট পার করতেই ব্যর্থ হয়েছেন এই অ্যাথলেট। তৃতীয় হিটে অংশ নিয়ে ছয়জন প্রতিযোগীর মধ্যে সবার শেষে দৌড় শেষ করেন জহির।

এই ইভেন্টে মোট পাঁচটি হিটে নাম ছিল ২৯ জন প্রতিযোগীর। তবে তিনজন অংশ না নেওয়ায় ২৬ জন দৌড়ান, যার মধ্যে জহির হয়েছেন ২৫তম। সময় নেন ৪৯.

৮৪ সেকেন্ড। প্রতিটি হিট থেকে সেরা দুইজন এবং অতিরিক্ত দ্রুত সময় নেওয়া আরও দুজন সেমিফাইনালে জায়গা করে নেন। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে ইভেন্টের ফাইনাল।

এ প্রতিযোগিতায় শুরুতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল ইমরানুর রহমানের। কিন্তু চোটের কারণে সরে দাঁড়ালে তার জায়গায় নির্বাচিত হন জহির। গত মাসে ৪৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ৪০০ মিটার দৌড়ে ৪৭.৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি এই তরুণ অ্যাথলেট। আগামী মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন জহির রায়হান।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় শ্লীলতাহানি, অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা স্কুলছাত্রীর

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অপমানে স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা–যাওয়ার সময় প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় তিন বখাটে তরুণ। এ বিষয়ে সামাজিকভাবে বিচার চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে গতকাল রাতে ঘর থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। পরিবারের সদস্যরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ছাত্রীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে খুবই অসুস্থ। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। অভিযুক্ত তিনজন এলাকায় অনেক অপকর্মে জড়িত বলে জানান তিনি।

ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্রীটি মানসিক ট্রমার মধ্যে আছে। অভিযুক্ত ছেলেগুলো এলাকায় বখাটেপনা করে বেড়ায়। মেয়ের বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম আজ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, উত্ত্যক্ত ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ