লঞ্চের ধাক্কায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল শিশু রায়হানের মরদেহ
Published: 21st, March 2025 GMT
ঝালকাঠির নলছিটির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবিতে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশু রায়হান মল্লিক (৯) এর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে খয়রাবাদ নদীর দপদপিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় স্থানীয়রা ওই শিশুর ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ তে কল দেয়। পরে নলছিটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ এসে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, গত ১৮ মার্চ ভোরে প্রতিবেশী বিপ্লব হাওলাদারের সঙ্গে নদীতে মাছ ধরা দেখতে গৌরিপাশা গ্রামের তার বাড়ি সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে যায় শিশু রায়হান মল্লিক। নদীতে জাল ফেলার পরে নৌকায় অপেক্ষা করতে থাকে শিশুটি। এ সময় বরগুনাগামী মিতালী-৫ লঞ্চ নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। জেলে বিপ্লব সাঁতরে অন্য নৌকায় উঠতে পারলেও শিশু রায়হান নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চালালেও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পার্শ্ববর্তী খয়রাবাদ নদীর দপদপিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
শিশু রায়হান মল্লিক গৌরিপাশা এলাকার মো.
নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/অলোক/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কাভার্ডভ্যান ও একটি কন্টেইনারের সঙ্গে সংঘর্ষে উড়ে গেছে বরিশাল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ। পরপর তিন দফা দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হন বাসের অন্তত ২০ যাত্রী। তবু বাস না থামিয়ে ছাদবিহীন গাড়িটি ১০ কিলোমিটার পথ চালিয়ে নিয়ে যান চালক। পরে জনরোষে গাড়ি থামাতে বাধ্য হন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমষপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।
বাসের যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাসটি দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় পৌছলে একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকে। সমষপুর এলাকায় পৌছে অপর একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ বডি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। যাত্রীরা চালককে থামাতে অনুরোধ করলেও সে তা উপেক্ষা করে।
যাত্রীরা বলেন, চালক দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে ছাদবিহীন চলন্ত বাস চালিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের পদ্মা সেতু উত্তর থানার লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় আহত যাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে বাসটি আটক করে জনতা।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি মো জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত শাহিন নামের এক যাত্রীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চালক ও হেলপার বাস রেখে পালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।