আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) সংবাদপত্রে তিন দিন বন্ধের ঘোষণায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)।

শুক্রবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে ডিএসইসির সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান বলেন, নোয়াবের ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ছুটি থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে সে ক্ষেত্রে পরদিন ২ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।

নোয়াবের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এবার ঈদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন। ঈদের টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটির সঙ্গে এবার আগে-পরেও মিলছে স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। সবকিছু মিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চের শেষ সপ্তাহ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ যাবে ছুটির মধ্যে।

অথচ সংবাদকর্মীদের কথা বিবেচনায় না নিয়ে নোয়াব মাত্র ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। এমন ঘোষণা বাতিলের দাবি জানানো হয় এবং একই সঙ্গে ছুটি বাড়ানোর দাবিও জানান নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়: বিএসইসি কমিশনার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেছেন, বন্ড মার্কেটকে আমরা ডেভেলপমেন্ট স্টেজে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্টির ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফারজানা লালারুখ বলেন, বিএসইসির মূল কাজ হলো কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ এবং বাজারকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা। বন্ড মার্কেটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ট্রাস্টির বিশাল ভূমিকা রয়েছে।  

তিনি বলেন, বন্ড মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার গুরু দায়িত্ব রয়েছে ট্রাস্টির ওপর। সেজন্য বন্ড মার্কেটের ভালো পারফর্ম করা এবং এর ভবিষ্যৎ অগ্রগতির ক্ষেত্রে ট্রাস্টির ভূমিকা নির্ধারক বা নির্ণায়ক হিসেবে কাজ করবে। ট্রাস্টি যেন তাদের সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিই আজকের সভার প্রধান লক্ষ্য।  

বিএসইসি কমিশনার বলেন, বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ যেমন- করপোরেট বন্ড, সুকুক ইত্যাদি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারও এই বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য তৎপর এবং তারা বিভিন্ন উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।  

বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ গোলাম মওলা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্টির ভূমিকা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।  

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে এবং আস্থা বাড়াতে ট্রাস্টিসহ সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিএসইসি বন্ড মার্কেটের জন্য কাঠামোগত উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

সভায় ট্রাস্টির ভূমিকা পালনকারী বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যেসব গণমাধ্যম সাংবাদিকদের সম্মানজনক বেতন দেবে না, তাদের আর দরকার নেই: প্রেস সচিব
  • পুঁজিবাজার উন্নয়নে গঠিত কমিটির প্রথম সভা
  • বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়: বিএসইসি কমিশনার