গণঅভ্যুত্থানে নিহতের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি গ্রেপ্তার
Published: 21st, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর দুমকীতে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি সিফাত মুন্সীকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, এ ধর্ষণ মামলার দুই আসামির মধ্যে দুই জনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের নলদোয়ানি এলাকায় গণ অভ্যুত্থানে নিহত বাবার কবর জিয়ারত করতে যায় শহীদের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। কবর জিয়ারত শেষে একই এলাকায় থাকা নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে সন্ধ্যাও হয়ে যায়। এ সময় একই এলাকার মুন্সী বাড়ির কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সীর ছেলে সাকিব মুন্সী (২০) ও সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী (১৯) ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক একটি নির্জন বাগানে নিয়ে দুইজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই দুই যুবক ধর্ষণের ভিডিও তাদের মোবাইলে ধারণ করে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর ধর্ষক সাকিব মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু সিফাত মুন্সী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। অতঃপর শুক্রবার ভোর ৫টায় পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
এদিকে গণঅভ্যুত্থানে এক নিহতের মেয়ে ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীতে আসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাসান মামুন। এছাড়া লন্ডন থেকে ফোনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা’র সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারা সবাই ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর নেন এবং তারা প্রত্যেকেই পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: মনির উদ্দিন পাপ্পু
গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থান সকল রাজনৈতিক শক্তিকে একসাথে দাঁড় করিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। সেই নতুন আকাঙ্ক্ষার প্রধান দিক হচ্ছে, শুধুমাত্র এক ফ্যাসিস্টকে বিদায় করা না বরং এদেশের অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ; যারা দেশের অর্থনীতিতে বিকাশে মূল ভূমিকা পালন করে, তাদের জীবনমানের পরিবর্তন হবে এবং বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতির মানুষেরা, সকলের নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারবে এমন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করা। এজন্য গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্খার নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে লালবাগ কেল্লার বিপরীতে ওয়াটার গার্ডেন কনভেনশন হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির উদ্যোগে ‘সংবিধানসংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে আলোচনা সভা হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান, সদস্য সচিব মো. সেলিমুজ্জামান, সম্মিলিত পেশাজীবী সংহতির অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম, বংশাল থানা সদস্য সচিব আহম্মেদ উল্লাহ (সুমিত), বংশাল থানা আহ্বায়ক জয় ভৌমিক, চকবাজার থানার সদস্য সচিব মো. হাসান, হাজারীবাগ থানার আহ্বায়ক মো. আকতার হোসেন, কোতোয়ালি থানার সদস্য সচিব মো. ফারিক, যাত্রাবাড়ী থানা আহ্বায়ক মোহাম্মদ ময়েজ, কেরাণীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী সমন্বয়কারী আব্দুল জলিল।
আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সংগঠক ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করবেন চকবাজার থানার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী।