শিশুদেরও নির্যাতন থেকে রেহাই দিচ্ছে না ইসরায়েল। একটি শিশু অধিকার গোষ্ঠী অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে দাদীকে গুলি করে হত্যা করার পর দুই নাতিকে বিবস্ত্র, অপমানিত, আতঙ্কিত এবং আটক করেছে।

ডিফেন্স ফর চিলড্রেন - প্যালেস্টাইন (ডিসিআইপি) জানিয়েছে , ১০ মার্চ জেনিনের পশ্চিমে দাদা-দাদির বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল ইব্রাহিম আবু ঘালি (৭) এবং ওমর মোহাম্মদ দিরার জাবেন (১৩)। ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সময় ফজরের আজান শোনার পরে বাইরে যাওয়ার কারণে তাদের দাদি গুলিবিদ্ধ হয়।

এরপর ইসরায়েলি সেনারা তাদের দাদুর সাথে বন্দুকের মুখে দুই শিশুকে তাদের অন্তর্বাস খুলে ফেলতে বাধ্য করে। প্রায় নগ্ন অবস্থায়, তিনজনের হাত বেঁধে প্রায় এক ঘন্টা বাইরে ঠান্ডায় আটকে রাখা হয়। তারপর তাদের মেঝেতে অথবা সামরিক যানবাহনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ওই সময়েও তারা বিবস্ত্র ছিল। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডিসিআইপির আয়েদ আবু একতাইশ বলেন, “শিশুদের বিবস্ত্র হতে বাধ্য করা, তাদের অবমাননাকর পরিস্থিতিতে আটকে রাখা ও তাদের মানসিক সন্ত্রাসের শিকার করা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এটি নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণের সমান।”

১২ ঘণ্টা আটক রাখার পরে শিশুদের তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময়েও শিশু দুটিকে শুধু অন্তর্বাস পরিয়ে রাখা হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মোট মজুত বা রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬৩৯ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ১১১ কোটি ডলার।

গতকাল রোববার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, এর আগে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

প্রবাসীদের পাঠানো আয় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। গত মার্চ মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে; এক মাসের হিসাবে যেকোনো সময়ের চেয়ে এটি বেশি। ফলে ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করছে। ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনলে আর বিদেশি ঋণ ও অনুদান এলেই কেবল রিজার্ভ বাড়ে। এতে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ কমেছে। ডলারের দাম না বেড়ে ১২৩ টাকার মধ্যে আটকে রয়েছে। পাশাপাশি অনেক ব্যাংক এখন গ্রাহকদের চাহিদামতো ঋণপত্র খুলতে পারছে। ফলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক।

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ডলার নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। ৮৫ টাকার ডলার বেড়ে ১২৮ টাকা পর্যন্ত ওঠে। সরকার পরিবর্তনের পর নানা উদ্যোগের কারণে প্রবাসী আয় বেড়েছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ছে না। এতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। ২০২২ সালের আগের পরিস্থিতিতে ফিরে গেছে অনেক ব্যাংক।

২০২৪ সালের ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সপ্তাহে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ