কাছের একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এ বিমানবন্দরটি আজ শুক্রবার সারা দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছেন। যে উপকেন্দ্রটিতে আগুন লেগেছে সেখান থেকেই হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এ আগুনের কারণে বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। খবর-বিবিসি

হিথ্রো বিমানবন্দরে মোট কত ফ্লাইটের উড্ডয়ন ও অবতরণ আজ বন্ধ থাকতে পারে সে সম্পর্কে সরকারি কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে ফ্লাইট রাডার২৪ জানিয়েছে, এ সংখ্যা কমপক্ষে ১ হাজার তিনশ’ ৫১টি হতে পারে। হিথ্রো যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৩০০টি ফ্লাইটের অবতরণ ও উড্ডয়ন হয়। গত বছর রেকর্ড ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী এ টার্মিনাল দিয়ে ভ্রমণ করেছেন।

এদিকে হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে। এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আরও তথ্যের জন্য তাঁদের এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী কাজ করছেন। বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র এলাকার আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা যায়।

উড়োজাহাজের চলাচল অনুসরণকারী (ফ্লাইট ট্র্যাকিং) ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুসারে, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ফ্লাইট অন্যান্য বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের এই বিমানবন্দরে না আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেন, অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তবে আমরা নিশ্চিত নই, বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম আবার কখন চালু হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

হিথ্রোর ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে ১২০টি উড়োজাহাজ হিথ্রোর উদ্দেশে আকাশে রয়েছে, যেগুলো অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হবে, না হয় যেখান থেকে এসেছিল, সেখানে ফিরে যেতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আগ ন উপক ন দ র ফ ল ইট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা ইলিশের একটি রেওয়াজ আছে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলে বাজারে ইলিশের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং  ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুইটি রানী রাইজিংবিডিকে বলেন, “পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেলে নববর্ষ উদযাপন হবে কী করে? তাই স্বামীকে নিয়ে ইলিশ নিতে এসেছি। এখানে ভালো মানের ইলিশ পাওয়া যায়। আমি এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ নিয়েছি। আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা রেখেছে। গত সপ্তাহেও এই দামে নিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

কড়া নাড়ছে ঈদ, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

শেষ মুহূর্তে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

সাজ্জাদুল ইসলাম নামের আরেকজন ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের অফিসের জন্য ১৫ কেজি ইলিশ নিয়েছি। অফিসের সবাই ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন করব। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রেখেছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। অন্য সময় হয়তো ১ হাজার ৫০০ তে পেতাম। তবে এখানকার মাছগুলো টাটকা।”

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে অন্য বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম দেখলাম। বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মধ্যে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত রয়েছে তাদের পক্ষে এই দামেও ইলিশ কেনা সম্ভব না।”

কারওয়ান বাজারে সুজন মৎস্য আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারী মো. সুজন সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ সরবরাহ থাকার কারণে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি। এখন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আগে যেমন পয়লা বৈশাখে বাজারে ভিড় থাকত। এ বছর ভিড় দেখছি না, বিক্রিও কম।”

বাবুল মৎস্য আড়ৎ এর ইলিশ বিক্রেতা বাবুল মোল্লা রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বড় ইলিশ মাছের সরবরাহ ঠিক আছে।” 

ঢাকা/রায়হান/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেই বিরল খনিজই চীনের লড়াইয়ের হাতিয়ার
  • পোশাক খাতে করপোরেট করহার অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ
  • আদানির দুই ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ
  • আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিট আবার চালু, বেড়েছে সরবরাহ
  • শক্তিশালী সৌরঝড়ের আশঙ্কা
  • নতুন বিনিয়োগ ‘পড়বে অসম প্রতিযোগিতায়’ 
  • মাছ শিকারে সমুদ্রে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু আজ
  • যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ রপ্তানি করবে না চীন
  • ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম
  • ইউক্রেনে গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ চায় যুক্তরাষ্ট্র