আ.লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমির
Published: 21st, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দেন শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমিরের পোস্টটি তুলে ধরা হলো—
বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
আল্লাহ তাআলার একান্ত মেহেরবানীতে আমরা পবিত্র রমাদানুল কারীম অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক অতিক্রম করছে।
দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবানীতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য অসংখ্য শুকরিয়া।
এ সময় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে এবং বাহিরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই।
আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
মহান আল্লাহ আমাদের ওপর রহম করুন এবং তার একান্ত সাহায্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে আমাদের মেহেরবানী করুন। আমীন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘কচুক্ষেত’ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না: গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ
‘কচুক্ষেত’ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন। ওই কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা–কর্মীরা। সেখানে সমাবেশে বক্তারা ঘোষণা দেন, ‘কচুক্ষেত’ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান বলেন, আওয়ামী লীগ নামে ও তাদের প্রতীক নিয়ে কাউকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। কচুক্ষেত থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হবে না।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের শাসনক্ষমতার কাঠামো বদলে যাবে এবং রাষ্ট্রকাঠামোও বদলে যাবে বলে মন্তব্য করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র আশরেফা খাতুন। তিনি বলেন, ‘সেনানিবাস, ভারত ও কিছু রাজনৈতিক দলের প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যতক্ষণ আমাদের শিরায় এক ফোঁটা রক্ত থাকবে, ততক্ষণ আমরা আওয়ামী লীগকে ফিরে আসতে দেব না।’
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, দেশের জনগণ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে নতুন বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। কচুক্ষেত থেকে আর কোনো সিদ্ধান্ত আসবে না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য পর্দার আড়ালে অনেক রাজনৈতিক দল কাজ করছে। তারা সংস্কার ছাড়াই ক্ষমতা দখল করতে এবং একটি নতুন ফ্যাসিবাদী কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব সাকিব আহমেদসহ অন্য নেতা–কর্মীরা।