রেয়াজউদ্দিন বাজারের দুটি দোকানে আগুন
Published: 21st, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজারে দুটি জুতার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাজারের আমতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পর ঈদকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমজমাট থাকা বাজারটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, দিবাগত রাত পৌনে একটায় রেয়াজউদ্দিন বাজারে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়া যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার থেকে আগুনের সূত্রপাত।
আগুনে দুটি জুতার দোকান পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করেছে বলে জানানো হয়। আগুন লাগার পর ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য বাঁচাতে তৎপর হয়ে পড়েন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আমতল ও আশপাশের দোকানিদের মধ্যে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনায় আগুনে পুড়ে ছাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ২৪ ঘর, ৫ কোটি টাকার ক্ষতি
বরগুনার তালতলী উপজেলার করাইবাড়িয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরসহ ২৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকরা।
রোববার রাত ১২টার দিকে করাইবাড়িয়া বাজারের বশির খানের পেট্রোলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা তালতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেন। পরে তালতলী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভাতে গেলে তাদের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ত্রুটি থাকায় তারা আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়। পরে খবর দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় মুদি-মনোহারি, হার্ডওয়্যার, ফার্মেসি ও তেলের দোকানসহ ১৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ৪টি বসতঘরসহ ২৪টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মহিবুল্লাহ মোল্লা বলেন, আমি ৭ বছর ধরে এই বাজারে ব্যবসা করি। আমার প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আমি সর্বস্ব হারিয়ে এখন রাস্তার ফকির হয়ে গেছি।
মুদি দোকানদার ফারুক মিয়া বলেন, আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। আমি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছি। এখন কীভাবে আমার ঋণের টাকা শোধ করব জানি না। আমি সবকিছু হারিয়ে এখন সহায় সম্বলহীন।
করাইবাড়িয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবির আকন বলেন, বশির খানের তেলের দোকান থেকে আগুনে সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই সে আগুন পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তালতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজারকে খবর দেওয়া হলে তারা বিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এছাড়াও তাদের যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় আগুন নিভাতে ব্যর্থ হয়। পরে আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার এসএম নুরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কিন্তু পানি সংকট থাকায় আগুন নিভানোর কাজে বিঘ্ন ঘটে। পরে আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, খবর পেয়ে রাত ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।