এই তো গত কয়েক সপ্তাহে নিজ-নিজ ক্লাবে ব্রুনো ফের্নান্দেজ এবং ভিতিনহা যা করেছেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ভিতিনহার  খেলা দেখে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা তাকে সেরা সময়ের লুকা মদ্রিচ এবং টনি ক্রুসের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অথচ ডেনমার্কের বিপক্ষে এই দুই তারকা মিডফিল্ডার হয়ে থাকলেব বোতলবন্দী।

তাহলে ব্রুনো আর ভিতিনহার হলোটা কী? জাতীয় দলে এসেই খেলা ভুলে যাওয়ার কোন ব্যাপার তো থাকে না। মূলত পর্তুগালের ম্যানেজার রবার্তো মার্তিনেজের অকার্যকরী কৌশলের কারণেই অনুজ্জ্বল হয়ে ছিলেন এক ঝাঁক তারকায় ভরা পর্তুগাল। উয়েফা ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় পর্তুগাল।

এই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটা করেন ডেনমার্কের স্ট্রাইকার রাসমুস হইলুন্ড। বদলি হিসেবে নেমে ৭৮ মিনিটে গোল করেন এই ডেনিশ তারকা। তবে এরপরই এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার যা করলেন, তা এখন ফুটবল বিশ্বের টক অব দা টাউন। তিনি ‘সিউ’ উদযাপন করলেন। আর এ কথা সবারই জানা যে এই ‘সিউ’ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ‘ট্রেডমার্ক সেলিব্রেশন’।

আরো পড়ুন:

ব্রুনোর শেষ মুহূর্তের গোলে ইউনাইটেডের জয়; হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন আমোরিম

আল নাসরে রোনালদোর ‘১০০’

হইলুন্ড যখন এই সেলিব্রেশন করছেন, তখন মাঠেই দাঁড়িয়েই পিছিয়ে পড়ার আক্ষেপে পুড়ছিলেন রোনালদো। তাহলে কি পর্তুগিজ মহাতারকাকে ব্যঙ্গ করেই ‘সিউ সেলব্রেশন’ করলেন ডেনিশ তারকা?

এর জবাবে হইলুন্ড বলেন, “এটি আমার আইডলের (রোনালদো) জন্য। উদযাপনটি তাকে নিয়ে মজা করার জন্য ছিল না। তিনি আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের উপর বিরাট প্রভাব ফেলেছেন। আবার তার ও পর্তুগালের বিপক্ষে গোল করাটা বিশাল ব্যাপার।”

হইলুন্ড এর পর তার আদর্শ রোনালদোর খেলা দেখা নিয়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন, “আমি ২০১১ সালে একটি ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম, তখন তিনি (রোনালদো) ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিলেন, এবং তারপর থেকেই আমি তার একজন বড় ফ্যান।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ত গ ল পর ত গ ল হইল ন ড গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে দগ্ধ অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু

গাজীপুর নগরের মোগরখাল এলাকায় গ্যাস লিকেজের আগুনে দগ্ধ আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত নারীর নাম তাসলিমা আক্তার (৩০)। তিনি শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার বাইগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এর আগে গতকাল সোমবার দগ্ধ সীমা আক্তার নামের এক নারীর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুনগাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত আটটার দিকে মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকার একটি বাড়িতে রান্না করছিলেন পারভিন আক্তার নামের এক নারী। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে পারভিনসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তাসলিমার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া একই ঘটনায় দগ্ধ আরও তিনজন সেখানে চিকিৎসাধীন। তাঁরা হলেন পারভিন আক্তার (৩৫), তাঁর দেড় বছর বয়সী ছেলে আয়ান ও তানজিলা (১০)।

আরও পড়ুনগাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে এক নারী মারা গেছেন২৮ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম হোসেন জানান, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বার আজ মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ