গত বছরই প্রথমবার গান গেয়ে সুপারহিট হয়েছেন ছোটপর্দার নায়িকা তাসনিয়া ফারিণ। তাঁর সঙ্গে গেয়েছেন আরেক নায়ক তাহসান। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চলেছে দেশের অন্যতম সফল টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। আসছে ঈদে হানিফ সংকেত গানে অভিষেক করাতে চলেছেন একসঙ্গে একজোড়া নায়ক-নায়িকা। একজন বড়পর্দার সিয়াম আহমেদ, অন্যজন ছোটপর্দার হিমি। দু’জনই দারুণ জনপ্রিয় নিজ নিজ কর্ম এলাকায়। এবার পালা গানের চমক দেখানোর। নাটক বা সিনেমায় তাদের একসঙ্গে দেখা না গেলেও সম্প্রতি তারা একসঙ্গে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এ গানটির মাধ্যমে এ দুই অভিনয়শিল্পীর কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হলো। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। ইত্যাদি সূত্রে জানা গেছে, পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও খুব চমৎকারভাবে গানটি গেয়েছেন এই দুই তারকা।
সিয়াম ও হিমির এই ব্যতিক্রমধর্মী গানটি চিত্রায়িত হয় চারদিকে লেকঘেরা একটি দৃষ্টিনন্দন স্থানে। গান গাওয়া প্রসঙ্গে সিয়াম বললেন, ‘আমি জীবনে কোনোদিন গান গাইতাম না। হানিফ সংকেত ও কবির বকুল ভাই যদি আমাকে তাগাদা না দিতেন। আমি গানের মানুষ না। আমি ভালো গান গাই না। তারপরও তারা দু’জন বলেছেন, এটা তোমার দর্শকদের জন্য ঈদ উপহার, তাই গানটা গেয়েছি।’ জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি বলেন, ‘অভিনয়ের বাইরে প্রথমবারের মতো গান গাইলাম। কেমন গেয়েছি, তা দর্শকরাই ভালো বলতে পারবেন। বেশ স্নায়ুচাপেই ছিলাম।’
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের বিশেষ আকর্ষণ ‘ইত্যাদি’ প্রচার হবে বিটিভিতে ঈদের পরদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। কেয়া কসমেটিক্সের সৌজন্যে এটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পী পরিচয় নিয়েই বাকি পথটা পাড়ি দেব: অবন্তী সিঁথি
‘যখন বুঝতে পারলাম, শ্রোতা আমার কণ্ঠে মেলোডি গান শুনতেই বেশি পছন্দ করেন, তখন থেকে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণের দিকেই মনোযোগী ছিলাম। কিন্তু এও সত্যি যে, ভার্সেটাইল শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গানের ভুবনে পা রেখেছিলাম। সেই চেষ্টা কখনও থেমে ছিল না। এই সময়ে এসে মনে হলো, এবার গায়কীতে নিজেকে ভেঙে আরও নতুনভাবে নিজেকে তুলে ধরা যায়। মেতে ওঠা যায় নিরীক্ষাধর্মী আয়োজনে। সেই ভাবনা থেকেই গান নিয়ে একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট করে যাচ্ছি।’
অবন্তী সিঁথির এ কথা থেকে স্পষ্ট যে, আগামী দিনগুলোয় শ্রোতারা তাঁকে আরও নতুনভাবে আবিষ্কারের সুযোগ পাবেন। তার আভাসও পাওয়া গেল যখন অবন্তী জানালেন, এরই মধ্যে তাঁর জীবনসঙ্গী অমিত দে’র সঙ্গে একটি এক্সপেরিমেন্টাল প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। সেখানে সুরকার ও সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন মিঠুন চক্র। সঙ্গে আরও আছেন গীতিকার রাসেল রহমান।
শুধু তাই নয়, এই ত্রয়ী ক’দিন আগে ‘সহসা’ শিরোনামে একটি গান তৈরি করছেন। সামনে আরও কিছু কাজের পরিকল্পনা আছে। এ গেল নিরীক্ষাধর্মী আয়োজনের। এ সময়ের আলোচিত শিল্পীদের সঙ্গে কয়েকটি দ্বৈত গানও রেকর্ড করে ফেলেছেন। আর সেই গানগুলোয় পাওয়া যায় সময়ের ছাপ।
তাই এ কথা নিশ্চিন্তে বলা যায়, ‘দখিন হওয়া’, ‘মনটা বাড়িয়ে’, ‘গা ছুঁয়ে বলো’, ‘পাখি পাখি মন’, ‘রূপকথার জগতে’, ‘মায়া কারে বলে’, ‘আবছায়া’, ‘কেমন আছো বন্ধু তুমি’, ‘রাগ কমলে ফোন করিস’, ‘এত প্রেম এত মায়া’, ‘জলকণা’, ‘কথার জোনাকি’, ‘তোমার জন্য’, ‘বলে দিলেই তো হয়’, ‘আদরের নাও ছুঁয়ে’-এর মতো শ্রুতিমধুর আরও কিছু নতুন গান এই শিল্পীর কণ্ঠে শিগগিরই শোনার সুযোগ হবে।
এটুকু আশা করা বাহুল্য নয় এ কারণে যে, অবন্তী সিঁথি অনেক দিন আগেই পুরোনো পরিচয় ঝেড়ে ফেলে পুরোদস্তুর গানের মানুষ হয়ে উঠেছেন। কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা সরাসরি জানিয়েও দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, শুরুতে ‘শিক্ষক ও শিল্পী’ দুই পরিচয় নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলাম। ‘দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা কি খুব কঠিন?’
দনিজের কাছে এটাই ছিল প্রশ্ন। এও মনে হয়েছিল, পেশা আর নেশার জন্য একসঙ্গে দুই ধরনের কাজ তো করা যেতেই পারে। দেখি না কী হয়। ব্যস, এই ভাবনা থেকেই শিক্ষকতা আর গানের চর্চা চালিয়ে গেছি। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম, একসঙ্গে দুই রকম পরিচয় বহন করা, কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সবাই এটা পারে না। এ কারণেই গুণীজনরা বলেন, ‘দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে নেই।’ তাদের সেই কথা মেনেই শেষমেশ একটা পথই বেছে নিয়েছি। যে পথের পথিকদের সখ্য শুধু সংগীতের সঙ্গে। শেষমেশ এই সিদ্ধান্তে এসেছি, কণ্ঠশিল্পী পরিচয় নিয়েই জীবনের বাকি পথটা পাড়ি দেব। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হয়েছে আমার আমার জীবনসঙ্গী অমিত দে’র কারণে। তাঁর পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির সবার কাছে গানের জন্য উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। সবচেয়ে কাছের মানুষ যখন কোনো কাজে উৎসাহ দেন, অনুপ্রেরণা জোগান সৃষ্টির নেশায় মেতে ওঠার, তখন কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকার অবকাশ থাকে না।’