Samakal:
2025-04-14@02:49:54 GMT

বোলিংয়ে আর বাধা নেই সাকিবের

Published: 21st, March 2025 GMT

বোলিংয়ে আর বাধা নেই সাকিবের

নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে একটা সুখবর পেলেন সাকিব আল হাসান। দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয়বারে এসে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাস করলেন তারকা এ অলরাউন্ডার। যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে বোলিংয়ে সাকিবের আর কোনো বাধা নেই। তাঁকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট।

গত সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এর পর ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে সাকিবের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কখনোই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের মুখে না পড়া বাঁহাতি এ স্পিনার লাফবোরো ল্যাবেই প্রথম পরীক্ষা দেন এবং অকৃতকার্য হন। গত ডিসেম্বরে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) জানায়, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট বাদে আর কোথাও বোলিং করতে পারবেন না সাকিব। এর পর চেন্নাইয়ে আরেক দফা পরীক্ষা দিয়েও অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণে ব্যর্থ হন তিনি। এর পর আর তাড়াহুড়ো না করে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কিছু কাজ করেন সাকিব। গত ৯ মার্চ সেই লাফবোরোতেই পরীক্ষা দেন সাকিব। গত বুধবার গভীর রাতে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তির সংবাদ।

সাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় সাকিব মোট ২২টি ডেলিভারি দিয়েছেন, যার প্রায় সবক’টিই ত্রুটিমুক্ত। এ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান সাকিব। সারের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহ অনুশীলন করেন তিনি। এই সারের হয়ে খেলতে গিয়েই বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন সাকিব। নিজেদের মাঠ কিয়া ওভালে বিশেষজ্ঞ কোচ, জিমনেশিয়াম সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সাকিবকে দিয়েছে তারা। প্রতিদিন প্রায় চার ঘণ্টা করে অনুশীলন করেন তিনি। প্রায় দুই সপ্তাহ অনুশীলনের পর তৃতীয় বার পরীক্ষা দিয়ে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি পান তিনি। সাকিবের বৈধতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি বিসিবি থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে, ‘গত ৯ মার্চ ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেন সাকিব। 

সর্বশেষ মূল্যায়নের ফল অনুসারে, সাকিব তাঁর বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করেছেন। এর ফলে ইসিবি তাদের প্রতিযোগিতামূলক সব কাউন্টি ক্রিকেট ও দ্য হান্ড্রেড থেকে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’ ইসিবি শিগগির মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত আকারে তুলে ধরবে বলেও জানান বিসিবি। অবৈধ বোলিং অ্যাকশন থেকে মুক্তি পেলেও রাজনৈতিক কারণে দেশে আসতে না পারায় জাতীয় দলের হয়ে তাঁর মাঠে নামা অনিশ্চিত। তবে দেশের বাইরে বিভিন্ন লিগে তাঁর সুযোগ বেড়ে যাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন অ য কশন পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদসহ ১৬৪ জনের নামে মামলা

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনার বেড়া মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের সেলিম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। তবে গতকাল রোববার রাতে মামলাটির কথা জানাজানি হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে বেড়া পৌর এলাকার কাগমাইরপাড়ায় আবু সাইয়িদের নিজ বাড়িতে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আবু সাইয়িদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ আসামি উপস্থিত ছিলেন। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন এলাকার সদস্য ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা–কমীরা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেন। সেখানে প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, বন্দুকসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের জন্য দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। মামলার সাক্ষী ও এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে আসামিদের নাম–ঠিকানা জোগাড় করতে সময় লাগায় এজাহার দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৬৪ জন আসামির মধ্যে আবু সাইয়িদকে এক নম্বর ও সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলামকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়ার একাংশ) আসনের আওতাধীন বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউর রহমান বলেন, ‘এটি মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আবু সাইয়িদ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য থাকার পাশাপাশি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। একপর্যায়ে আবু সাইয়িদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ২০১৮ সালে তিনি গণফোরামে যোগ দেন এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পাবনা-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। সেই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের কাছে পরাজিত হন।

আবু সাইয়িদ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য থাকার পাশাপাশি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৮ সালে তাঁকে বাদ দিয়ে শামসুল হক টুকুকে (সাবেক ডেপুটি স্পিকার) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আবু সাইয়িদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ২০১৮ সালে তিনি গণফোরামে যোগ দেন এবং ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পাবনা-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। সেই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের কাছে পরাজিত হন। এরপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। সেই নির্বাচনেও তিনি শামসুল হকের কাছে পরাজিত হন।

গত বছর ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি ঢাকা থেকে তাঁর নির্বাচনী এলাকা বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলায় মাঝেমধ্যে আসতেন। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তিনি বেড়ায় এসে কাগমাইরপাড়ায় অবস্থিত তাঁর নিজ বাড়িতে ঈদের পরদিন (১ এপ্রিল) শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভার আয়াজন করেন। সেই সভায় তাঁর অনুসারীসহ আওয়ামী লীগের একাংশের অনেক নেতা–কর্মী যোগ দেন। এতে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা–কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আবু সাইয়িদের নেতৃত্বে তাঁর বাড়িতে সমাবেশের প্রতিবাদে বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলায় একাধিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা আবু সাইয়িদকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ