২০২৪ সালের ৬ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচই ছিল ভারতের জার্সিতে সুনীল ছেত্রির শেষ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে সুনীলের বিদায় বলার পর ভারতও যেন জিততে ভুলে গিয়েছিল। ১৬ মাসে ১২ ম্যাচ খেলা দলটি পারেনি কোনো ম্যাচ জিততে। কোচ মানোলো মার্কুয়েজের ওপর বাড়তে থাকে চাপ। বরখাস্ত হওয়ার শঙ্কায় থাকা মানোলো ডাক দিলেন ছেত্রিকে।
২৫ মার্চ শিলংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে কোচের ডাকে সাড়া দিয়ে ৪০ বছর বয়সী ভারতীয় ফুটবলের এ তারকা ফিরলেন অবসর ভেঙে। ভারতও ফিরল জয়ে। বুধবার শিলংয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারত জিতেছে ৩-০ গোলে। এই জয়ে ছেত্রি করেছেন এক গোল। গোলের পর উদযাপন প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁর চোখের কোণে জল এসেছিল। ভারতের জার্সিতে তাঁর গোলসংখ্যা হলো ৯৫। গোল করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা এ তারকা জানিয়ে দিলেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। বয়স তাঁর কাছে স্রেফ সংখ্যা। বলা যায়, এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ এখন সুনীল ছেত্রি।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাংলাদেশের আতঙ্ক ছেত্রি। এক-দু’বার নয়, বহুবার বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মালেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি। তাই তো শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দুর্ভাবনার নাম বেঙ্গালুরুর এ ফরোয়ার্ড। অনেকের ধারণা, বাংলাদেশে যখন ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা এসেছেন, তাঁকে টেক্কা দেওয়ার জন্যই ভারত ফিরিয়ে এনেছে ছেত্রিকে।
শেফিল্ড ইউনাইটেডে হামজা ডিফেন্সে খেলেন আর ছেত্রি হলেন ফরোয়ার্ড। তাই ভারতের আক্রমণ আর বাংলাদেশের রক্ষণভাগের লড়াইয়ের ভেতরে মূল লড়াই হবে মূলত হামজা ও ছেত্রির মধ্যে। যে লড়াইয়ে হামজাকে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জামাল দুই তারকার কে সেরা বলতে গিয়ে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের অন্যতম তারকা ছেত্রি। তবে হামজা কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
সোনাহাট ব্রিজে ২২ ঘণ্টা ধরে বন্ধ যান চলাচল
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ব্রিজের পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে প্রায় ২২ ঘণ্টা বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল।
এতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে থেকে ব্রিজের দুইপাড়ে আটকা পড়েছে সোনাহাট স্থলবন্দরগামী প্রায় ৩ শতাধিক পাথর ও কয়লা বোঝাইসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন।
এদিকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সড়ক বিভাগ। যার ফলে বিকল্প পথ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ চলচলকারীরা।
পাথর বোঝাই ট্রাকচালক রহিম উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বেইলি সেতুটির মাঝ বরাবর একটি পাটাতন ভেঙে যায়। শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত আমি প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে আটকা পড়েছি। কোনো সমাধান হয়নি।’
মোটরসাইকেলচালক চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘অনেক ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল পার করলাম। দুই দিকে প্রচুর যানযট থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে সবাই।’
কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, দ্রুত সংস্কারের কাজ চলছে। আশা করছি শনিবার সকালের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হবে।