পবিপ্রবি শিক্ষক ড. সন্তোষ কুমার বসু সাময়িক বরখাস্ত
Published: 21st, March 2025 GMT
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না সেই কারণ জানাতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি অধ্যাপক ড.
এমন অবস্থায় তাঁকে চাকরিতে বহাল রাখা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচিত হওয়ায় এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া যথাযথ জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ড. সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. কেরামত আলী হলে যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার খুব সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না, গদি ছাড়বে না। যদি আরও ৫ হাজার মানুষ মারা লাগে, তবুও সরকার চিন্তা করবে না।’
শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ‘এই মিয়া এই’ শব্দ উচ্চারণ করে তাদের দিকে তেড়ে যান এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যাকে ‘খোঁড়া যুক্তি’ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তাঁর এসব বক্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনের সময়েই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ৪ আগস্ট তাঁকে প্রক্টর পদ থেকে অপসারণ করে তৎকালীন প্রশাসন। পরবর্তীতে তাঁকে রেজিস্ট্রার পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মঞ্চে হকারদের জীবিকা ও সংগ্রামের গল্প
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো রম্য নাটক ‘সংস অব হকারস’ বা ‘হকারদের গান’।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের উদ্যোগে গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নাটকটি উপভোগ করেছেন ঢাকার দর্শকেরা।
নাটকটি লেখার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন ফরাসি নাট্যব্যক্তিত্ব যাযি আয়ুন। নৃত্য, গান, পুতুলনাচ, অ্যাক্রোব্যাটিকসসহ বিচিত্র পরিবেশনায় প্রযোজিত নাটকটি দেখতে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল।
যাযি আয়ুন বেশ কিছুদিন নিউমার্কেট, ধানমন্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কাছ থেকে হকারদের কর্মতৎপরতা দেখেছেন। সে অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন এ নাটক। তিনি স্থানীয় তরুণ নাট্যকর্মীদের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন। নাটকটিতে দৈনন্দিন জীবনের অতি পরিচিত তিনটি আলাদা গল্প সাজিয়েছেন লেখক; ‘দ্য সিক্রেট’, ‘দ্য থিফ রিওয়ার্ডেড’ ও ‘দ্য কম্পিটিশন’। আর মঞ্চে গল্পগুলো বলতে ১৯ শতাব্দীর ফরাসি নাট্যশৈলী ‘গ্র্যান্ড গুইনিওল’ কৌশল ব্যবহার করেছেন নির্দেশক।
১ ঘণ্টার নাটকে ঢাকার রাস্তার হকারদের ব্যস্ততা, ক্লান্তিকর জীবনের নানা মুহূর্ত উঠে এসেছে কৌতুকপূর্ণ উপস্থাপনায়। হাস্যরসের মধ্য দিয়ে হকারদের জীবিকা ও সংগ্রামের গল্প বলেছেন নাট্যকার।
সংলাপগুলো ভাঙা ভাঙা ইংরেজি ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে লেখা। নাট্যকারের ভাষ্যে, শহরের বিশৃঙ্খল জীবনের মধ্যে হকাররা তাঁদের বিভিন্ন পণ্য দিয়ে এবং সুপারমার্কেটের চেয়ে সস্তায় সেগুলো বিক্রি করে অনেকের জীবন হয়তো সহজ করে তোলেন। তাই এ নাটক জীবনঘনিষ্ঠ। এতে অভিনয় করেছেন ইমাম হোসেন, মো. সোহেল রানা, পি কে ফজল, সুরাইয়া তাসনিম প্রমুখ।
আরও পড়ুনআঁলিয়স ফ্রঁসেজে মীর লোকমানের একক মূকাভিনয় শুক্রবার১১ আগস্ট ২০১৬