Prothomalo:
2025-04-15@11:10:30 GMT

পুলিশি তৎপরতা হতাশাজনক

Published: 21st, March 2025 GMT

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে গোটা দেশে অস্ত্রধারীরা মাঠে নেমেছিল। পতিত শক্তির রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে ভারী অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করে। তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হলেও অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। চট্টগ্রামে বেশির ভাগ অস্ত্রধারীই গ্রেপ্তার হয়নি। উদ্ধার হয়নি কোনো অস্ত্রও। বিষয়টি চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলার জন্য উদ্বেগের।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, গত বছরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গুলি চালানো অস্ত্রধারীদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-পুলিশ। তবে তাদের ব্যবহৃত কোনো অস্ত্রই উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ বলছে, অস্ত্রধারীদের সবাই যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী। প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিস্তল, শটগান ও কাটা বন্দুক।

মোট কতজন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামেন, তা শনাক্ত করার কাজ চলছে। আন্দোলনে গুলি ও হামলায় নগরে ১০ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এসব ঘটনায় ৮২টি মামলা হয়েছে। প্রায় আট মাস হয়ে গেলেও এখনো অস্ত্রধারীদের শনাক্তই করা যায়নি, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শনাক্তই যদি করা না যায়, তাহলে অস্ত্রধারীদের কীভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে এবং ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যাবে?

প্রকাশ্য অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার না হওয়া এবং অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়। স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তেমনটিই অভিযোগ করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারও বলছে একই কথা। যেমন নগরের মুরাদপুরে গত বছরের ১৮ জুলাই গুলিতে নিহত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। তাঁর ভগ্নিপতি দীপক মিস্ত্রি বলেন, ‘কাদের হাতে অস্ত্র ছিল, পুরো দেশবাসী বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

নগরের মুরাদপুর, ষোলশহর, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট মোড়, সিটি কলেজ রোড, জামালখান, আসকার দিঘির পাড় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনে কারা গুলি চালিয়েছে, কারা অস্ত্রধারীদের নেতৃত্ব দিয়েছে, এসবের ভিডিও ফুটেজ এখন সর্বত্র পাওয়া যায়। এসব অস্ত্রধারী তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, জামাল খান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো.

এসরালসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের অনুসারী বলে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নাজুক, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভয় কাটাতে অবশ্যই এসব অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। উদ্ধার করতে হবে অস্ত্রও। এটিও অনস্বীকার্য যে জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আশা করি, চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে আরও বেশি সক্রিয় হবে এবং নিজেদের তৎপরতা বাড়াবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা জুড়ে দুই দিনে ৬ লাশ, জনমনে আতংক

নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।  জেলায় একের পর এক ঘটছে অঘটন। ফলে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। গত ২৪ ঘন্টায় নবজাতকসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলো, রূপগঞ্জের  দেলোয়ার (৩০) ও অঞ্জাত নবজাতক ও সোনারগাঁয়ের  বৃদ্ধ সিরাজুল (৭০)। শনিবার (১২ এপ্রিল) জেলার সোনারগাও এবং রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।  

এরআগে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া বড়বাড়ি এলাকার মরহুম আক্তার হোসনের ভাড়া বাড়ির পাশ থেকে মা-শিশু সন্তানসহ তিনজনের বস্তাবন্দি খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এনিয়ে গত দু’দিনে ছয় লাশ লাশ উদ্ধারের ঘটনাতো জেলা জুড়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আতংক। আর   সচেতন মহল বলছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।  

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের এক নম্বর সেক্টরের একটি প্লট থেকে দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় লাশের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা ছুরিও উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানার শোলাকিয়া এলাকার আবু সাঈদের পুত্র।  

পুলিশের ধারণা, রাতের যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ওই যুবককে হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে।

অপরদিকে বেলা ১১টার দিকে দাউদপুরে ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের খৈশার এলাকায় পরিত্যক্ত ভিটি থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

অন্যদিকে শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকায় মেঘনা শাখা মেনিখালি নদীর পাশের বালুর মাঠের ঝোপ থেকে বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম (৭০) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল বিকেলে তিনি নিখোঁজ হন। নিহত সিরাজুল ইসলাম একই ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা। নিখোঁজের পর তার ছেলে শামীম রেজা বাদী হয়ে ৭ এপ্রিল সকালে সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। 

পুলিশের ধারণা, বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে স্ট্রোক কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ে আর উঠতে পারেননি।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী ও সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, পুলিশ উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক পৃথক আইনীব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা হতাশাজনক
  • নোবিপ্রবির উপাসনালয় ভাঙচুর 
  • হুমকি না থাকলেও বর্ষবরণে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
  • জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • কার্যালয়ের ভেতর আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা, বাইরে খুনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
  • জেলা জুড়ে দুই দিনে ৬ লাশ, জনমনে আতংক
  • পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে ৮ ঘণ্টার গণনায় মিলল রেকর্ড সাড়ে ৮ কোটি টাকা