Prothomalo:
2025-03-21@17:55:48 GMT

পুলিশি তৎপরতা হতাশাজনক

Published: 21st, March 2025 GMT

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে গোটা দেশে অস্ত্রধারীরা মাঠে নেমেছিল। পতিত শক্তির রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে ভারী অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করে। তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হলেও অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। চট্টগ্রামে বেশির ভাগ অস্ত্রধারীই গ্রেপ্তার হয়নি। উদ্ধার হয়নি কোনো অস্ত্রও। বিষয়টি চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলার জন্য উদ্বেগের।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, গত বছরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গুলি চালানো অস্ত্রধারীদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-পুলিশ। তবে তাদের ব্যবহৃত কোনো অস্ত্রই উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ বলছে, অস্ত্রধারীদের সবাই যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী। প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিস্তল, শটগান ও কাটা বন্দুক।

মোট কতজন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামেন, তা শনাক্ত করার কাজ চলছে। আন্দোলনে গুলি ও হামলায় নগরে ১০ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এসব ঘটনায় ৮২টি মামলা হয়েছে। প্রায় আট মাস হয়ে গেলেও এখনো অস্ত্রধারীদের শনাক্তই করা যায়নি, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শনাক্তই যদি করা না যায়, তাহলে অস্ত্রধারীদের কীভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে এবং ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যাবে?

প্রকাশ্য অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার না হওয়া এবং অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়। স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তেমনটিই অভিযোগ করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারও বলছে একই কথা। যেমন নগরের মুরাদপুরে গত বছরের ১৮ জুলাই গুলিতে নিহত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। তাঁর ভগ্নিপতি দীপক মিস্ত্রি বলেন, ‘কাদের হাতে অস্ত্র ছিল, পুরো দেশবাসী বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

নগরের মুরাদপুর, ষোলশহর, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট মোড়, সিটি কলেজ রোড, জামালখান, আসকার দিঘির পাড় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনে কারা গুলি চালিয়েছে, কারা অস্ত্রধারীদের নেতৃত্ব দিয়েছে, এসবের ভিডিও ফুটেজ এখন সর্বত্র পাওয়া যায়। এসব অস্ত্রধারী তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, জামাল খান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো.

এসরালসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের অনুসারী বলে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নাজুক, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভয় কাটাতে অবশ্যই এসব অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। উদ্ধার করতে হবে অস্ত্রও। এটিও অনস্বীকার্য যে জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আশা করি, চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে আরও বেশি সক্রিয় হবে এবং নিজেদের তৎপরতা বাড়াবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে ঢাকাবাসীর জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরী এলাকায় বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদ উদযাপনের জন্য নগরবাসীকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পুলিশকে সহায়তা দিতে ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পুলিশের পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে আরও বেশি সফল হওয়া সম্ভব। ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ঈদে বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেছে ডিএমপি। 
সেগুলো হলো- ১. বাসাবাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রক্ষীদের ডিউটি জোরদার করতে হবে। যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা যেতে পারে।
২. বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে হবে।
৩. বাসাবাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বাসাবাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকট আত্মীয়ের হেফাজতে রেখে যেতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
৭. বাসাবাড়ি ত্যাগের আগে যেসব প্রতিবেশী-পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করতে হবে এবং ফোনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।
৮. ভাড়াটিয়াদের আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি জানাতে হবে।
৯. অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাসা বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করতে হবে ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে।
১০. বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ত্যাগের আগে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
১১. বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।
১২. বাসার জানালা-দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।
১৩. মহল্লা বা বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে জানাতে হবে।
১৪. ঈদে মহল্লা বা বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে জানাতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৩২০-০৩৭৮৪৫; ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯ এবং জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ.লীগের চালক খারাপ হতে পারে, কিন্তু গাড়ি তো খারাপ নয়: জি এম কাদের
  • আ.লীগের চালক খারাপ হতে পারে, কিন্তু গাড়ি তো খারাপ নয়: জিএম কাদের
  • এখন ওরা আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে চাচ্ছে: জি এম কাদের
  • দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে: জি এম কাদের
  • যৌথ বাহিনীর ৬ দিনের অভিযানে ২৪৯ জন গ্রেপ্তার
  • ঈদে ঢাকাবাসীর জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা
  • ঈদে বাসা-প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা
  • ‘দেশ ও এলাকার জন্য কাজ করে যেতে চাই'
  • স্বাধীন দেশে প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনীই কাম্য