যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীরা যদি মার্কিন অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেন তবে তাদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিজ্ঞপ্তি জার্মানির ভ্রমণ পরামর্শ আপডেট করার একদিন পরেই এসেছে, যেখানে তিনজন জার্মান নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টার সময় আটক করা হয়েছিল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চিত করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে আটক থাকা একজন ব্রিটিশ নাগরিককে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ওই সময় একজন মহিলাকে সীমান্তে আটক করার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল।

পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্রবেশের নিয়ম কঠোরভাবে নির্ধারণ ও প্রয়োগ করে। আপনি যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে গ্রেপ্তার বা আটক হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর নাগরিকদের ‌‘প্রবেশ, ভিসা ও অন্যান্য প্রবেশের শর্তাবলী মেনে চলতে’ বলেছে।

রয়টার্স জানায়, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের ওয়েবসাইটে থাকা নির্দেশিকায় কেবল উল্লেখ করা হয়েছিল যে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ প্রবেশের নিয়ম নির্ধারণ ও প্রয়োগ করে।
এ সপ্তাহে জার্মানি নিশ্চিত করেছে যে, তারা তিনজন জার্মান নাগরিকের ঘটনা তদন্ত করছে, যাদের মার্কিন দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের সময় আটক করা হয়েছিল এবং প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর জার্মানি তাদের পরামর্শ আপডেট করে জানায় যে, ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইএসটিএ) বা মার্কিন ভিসা থাকা সত্ত্বেও প্রবেশ নিশ্চিত নয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, একজন কানাডিয়ান নারীও সম্প্রতি মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) কর্তৃক আটক হয়েছেন। এই আটকের ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ রমণ প রব শ র

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল নেতা বিরুদ্ধে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী শিশির পন্ডিত হরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। অপরদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার নাম জাহিদ হাসান।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর দেওয়া ভুক্তভোগীর অভিযোগপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে ২০ মার্চ থেকে ছুটি শুরু, বন্ধ থাকবে হল

নোবিপ্রবিতে ২ ছাত্রদল নেতার জন্য মাস্টার্স চালু

অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগীর হলে থাকার বৈধ সিট থাকলেও জাহিদ হাসান নামে ওই ছাত্রদল নেতা নিজেকে ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের পছন্দের লোক উঠানোর চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে অন্য ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দিয়ে নিজের রুমে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জেরা করেন তিনি।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “আমি ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে ৪২৪ নাম্বার রুমের বৈধ শিক্ষার্থী। হলের অ্যালটমেন্ট ফি সময় মতো দেওয়াসহ সবকিছু সময়মত করেছি। আমার উঠতে কিছুদিন দেরি হলে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী আমাকে জানায়, আমার সিট নাকি বাতিল হয়ে গেছে। তাই তারা ওই রুমে নিজেদের জুনিয়রকে তুলবে। পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি হল প্রশাসন এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ওই রুমে হল প্রশাসন পাঁচজন শিক্ষার্থীকে অ্যালটমেন্ট দিলেও সেখানে ছয়টা সিট প্রবেশ করিয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমি এবং আমার বন্ধু একাডেমিক কাজে কিছুদিন ঢাকা থাকায় আমাদের সিট নিয়েও ষড়যন্ত্র শুরু হয়। আমার অনুপস্থিতিতে এক জুনিয়র রুমে থাকতে গেলে তাকেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যদিও রুমে অ্যালটমেন্ট না হওয়া অন্য দুজন শিক্ষার্থী থাকলেও তাদের বিষয়ে চেপে গিয়ে আমাদের রুমে থাকতে না দেওয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ৯ মার্চ দুপুর ১২.৩৭ মিনিটে আমার মোবাইলে একটি কল আসে এবং জাহিদ হাসান নামের একজন নিজেকে ছাত্রদল সভাপতি পরিচয় দিয়ে আমাদের রুমের বিষয়ে আমাকে জেরা করে। যেখানে তিনি হল প্রশাসনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আমার এবং আমার বন্ধুর সিট নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে থাকে। পরে ৩০৫ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে একই বিষয় নিয়ে আমাকে ৬-৭ জন ছাত্রদল পরিচয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জেরা করে। বর্তমানে আমি এবং আমার বন্ধু এ বিষয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন।” 

নিরাপত্তাহীনতায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অভিযোগপত্রে হল প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান বলেন, “অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার কাছে তথ্য এসেছে যে, শিশির পন্ডিত এবং তার বন্ধু চাকরিজীবী হয়েও তারা হলে সিট নিয়েছে এবং সিটে উঠেনি। হল প্রশাসন একটা নোটিশ দিয়েছে, যারা নির্দিষ্ট সময়ে হলে উঠবে না, তাদের সীট বাতিল বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে প্রভোস্ট মহোদয়ের মৌখিক অনুমতি নিয়ে দুইটা ছেলে ওই রুমে থাকে।”

তিনি বলেন, “শিশির পন্ডিতের পরিচয় দিয়ে তার জুনিয়র সেখানে থাকতে আসে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমি শিশির পন্ডিতকে কল দিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।”

ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয়ের বিষয়ে জাহিদ হাসান বলেন, “আমি এমন কোনো পরিচয় দেইনি। আমি শুধু বলেছি আমি নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান।”

নোবিপ্রবি ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক নূর হোসেন বাবু বলেন, “জাহিদ হাসান নামে আমাদের কমিটিতে কোনো নেতা নেই। কেউ যদি ছাত্রদল সভাপতি পরিচয় দিয়ে কোনো অন্যায় কাজ করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি হল প্রশাসনকে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

নোবিপ্রবি ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রাধ্যক্ষ বডি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী প্রাধ্যক্ষ বলেন, “ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয়ে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা হল প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যানার টাঙানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, দুজন গুলিবিদ্ধ
  • সাঁতারু থেকে মন্ত্রী, এখন তিনি বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে ক্ষমতাধর
  • জামালপুরে ‘পাওনা টাকা চাইতে গেলে’ চোর অপবাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রিকে নির্যাতন
  • নরসিংদীতে আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ নিহত ২
  • ঘর বেচে কেনা হয়েছিল কম্পিউটার, এখন কোটি টাকার মালিক ফ্রিল্যান্সার রায়হান
  • যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য
  • বিএনপির ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ আশঙ্কা কেন?
  • যখন আমি নবীন চিত্রশিল্পী
  • নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ