মার্কিন শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত আদেশে শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহনকে শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে একটি ফেডারেল বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে এক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, প্রশাসন শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসকে সংস্থাটি বন্ধে চাপ দিতে পারে, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর বাজেট দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে কিন্তু জাতীয় পরীক্ষার ফলাফল উন্নত হয়নি।

স্কুলগুলোতে পাঠ্যক্রম নির্ধারণে ফেডারেল সরকারের কোনো ভূমিকা নেই, এটি রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারগুলোর দায়িত্ব। রাজ্য ও স্থানীয় সরকার স্কুলগুলোকে ৯০ শতাংম তহবিল প্রদান করে। তা সত্ত্বেও, হোয়াইট হাউসে, ট্রাম্প ‘রাজ্যগুলোতে শিক্ষা ফেরত পাঠানোর’ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করেছিলেন।

শিক্ষা বিভাগকে লক্ষ্য করে নির্বাহী আদেশটি কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রত্যাশিত ছিল। এই আদেশে ম্যাকমাহনকে প্রধান কার্যক্রমগুলো বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন ম্যাকমোহনই হবেন শেষ শিক্ষামন্ত্রী।

ট্রাম্প বলেছেন, “আমার প্রশাসন বিভাগটি বন্ধ করার জন্য সব আইনি পদক্ষেপ নেবে। আমরা এটি বন্ধ করে দেব এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করে দেব। এতে আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যার প্রতিবাদ করে গাজাবাসীর জন্য রাইখানদের প্রার্থনা

গণহত্যার প্রতিবাদ করে জালিম ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে মজলুম গাজাবাসীর মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছে পটুয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায়।

গাজায় গণহত্যা ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের শিকার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য কুয়াকাটায় মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে এক মিনিট নীরাবতা পালন করে রাখাইন সম্প্রদায়।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুক্রবার রাখাইন জলকেলি উৎসবের শুরুতে গাজায় গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ছবি: রাইজিংবিডি 

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব
বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে

অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি

শুক্রবার দুপুরে (১৮ এপ্রিল) কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন রাখাইন মাঠে জলকেলি উৎসবের প্রারম্ভে সবাই দাঁড়িয়ে এই নীরবতা পালন করেন।

রাখাইনদের অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গাজাবাসীর জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় বলেও জানিয়েছেন সম্প্রদায়টির ধর্মগুরুরা।

গণহত্যা অভিযানে গাজা ও ফিলিস্তিন নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাখাইনদের এসব উদ্যোগ মানবতার জন্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সেখানকার মানুষ।

রাখাইন জলকেলি উৎসব দেখতে আসা কলাপাড়ার আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হোসেন মিয়া বলেন, “আজ জলকেলি দেখতে রাখাইন মাঠে এসেছি। এখানে এসে একেবারেই অবাক হয়েছি। তারা অনুষ্ঠানের শুরুতেই গাজাবাসীর জন্য নীরবতা পালন করেছে।”

“নিপীড়িত গাজাবাসীর জন্য তাদের সহমর্মিতা আমাকে আপ্লুত করেছে,” বলেন হোসেন মিয়া।

মহিপুর থেকে আসা মো. আবদুস সালাম বলেন, “এমনিতেই রাখাইনদের সঙ্গে আমাদের একটি সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আজ তারা গাজাবাসীর জন্য প্রার্থনা করেছে। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আরো বেড়ে গেল।”

মিশ্রীপাড়া সীমা বৌদ্ধবিহারের উপাধ্যক্ষ উত্তম মহাথের বলেন, “আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে গাজাবাসীর জন্য প্রায়ই বিশেষ প্রার্থনা করি। শুধু গাজাবাসীই নয়, পৃথিবীর সকল দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ যুদ্ধ বন্ধ হোক- এটাই আমাদের প্রার্থনা।”

“ আমরা মানুষ হিসেবে সবাইকে সবার প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি,” বলেন উত্তম মহাথের।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “গাজাবাসীর প্রতি রাখাইন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে মানবতার সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি তারা দেখিয়েছেন, এ জন্য তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

“রাখাইন সম্প্রদায় ভিন্ন ধর্মালম্বী হলেও মানবতার ধর্ম সবার এক। তাই রাখাইন সম্প্রদায় এই নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের সম্প্রীতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল।”

শুক্রবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাখাইন জলকেলি উৎসব, যাতে শামিল হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বিদেশিরাও।

উৎসব শুরুর দিন ঐতিহ্যবাহী জলকেলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় রাখাইনদের। তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের আনন্দ করতে দেখা যায়। উৎসবে সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

ঢাকা/ইমরান/রাসেল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ