নতুন নথিতে খুনি ও দেশে দেশে সিআইএর চক্রান্ত নিয়ে যা জানা গেল
Published: 20th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির গুপ্তহত্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার দুই হাজারের বেশি গোপন নথি প্রকাশ করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এসব নথি প্রকাশে ছয় দশক পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড। জে এফ কে নামে পরিচিত সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে হত্যার ঘটনা ঘিরে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছে। এখনো এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
কেনেডি নিহত হওয়ার পর মার্কিন সরকার এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছিল, তা যে সঠিক নয়, নতুন প্রকাশিত নথিতে এর পক্ষে তেমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেসব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিল মঙ্গলবার প্রকাশিত নথিতে নতুন করে তা আলো ফেলেছে। এসব নথিতে কেনেডির হত্যাকারী সম্পর্কে বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনও পাওয়া গেছে।
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাস শহরে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা কেনেডিকে হত্যা করা হয়। ঘাতক ছিলেন লি হার্ভে ওসওয়াল্ড নামে ২৪ বছরের এক তরুণ, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন মেরিন সদস্য। টেক্সাস স্কুল বুক ডিপোজিটরির ষষ্ঠ তলা থেকে কেনেডিকে নিশানা করে গুলি ছোড়েন ওসওয়াল্ড। এর দুদিন পরের ঘটনা। ওসওয়াল্ডসহ বন্দীদের অন্য একটি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় জ্যাক রুবি নামে এক নৈশক্লাব মালিকের গুলিতে নিহত হন ওসওয়াল্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডালাসে জন এফ কেনেডি মেমোরিয়াল প্লাজা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেনেডি হত্যার নথিতে সিআইএর গোপন তথ্য
ট্রাম্প প্রশাসন গত মঙ্গলবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত ২ হাজারের বেশি নতুন নথি প্রকাশ করেছে।
প্রকাশের আগে দারুণ হইচই হলেও, পরে দেখা গেছে এসব নথি জেএফকে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা ওয়ারেন কমিশনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার মতো নতুন কোনো চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়নি। এটি কেবল সিআইএর গোপন কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে।
নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কেনেডির হত্যাকারী লি হার্ভে অসওয়াল্ড হত্যাকাণ্ডের আগে মেক্সিকো সিটিতে সোভিয়েত ও কিউবার দূতাবাসে গিয়েছিলেন। ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে যাওয়ার পর ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন তিনি।
তবে সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি, অসওয়াল্ডকে নিজেদের এজেন্ট হিসেবে কখনোই স্বীকার করেনি। ২০২৩ সালের গ্যালাপ জরিপ অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ আমেরিকান সরকারিভাবে প্রকাশিত জেএফকে হত্যার ব্যাখ্যা বিশ্বাস করেন না। আলজাজিরা।