ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) ঢাকার নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন থাইরয়েড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী। গত মঙ্গলবার পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুল হুদা তাঁকে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেন।

নিনমাসের সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অধ্যাপক ফজলুল বারীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি নিনমাসসহ পরমাণু শক্তি কমিশনের  গবেষণাসেবা আরও উন্নততর করে নিনমাসকে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সিলেন্স সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তুলতে সব বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকের সহযোগিতা চান।

অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পেশাজীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীন নিনমাসে যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য এবং ডব্লিউএমআইম ভারতের সম্মানিত ফেলো।

অধ্যাপক বারী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৭ সালে বঙ্গবীর ওসমানী পদক, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। গবেষণার জন্য দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফজল ল ব র

এছাড়াও পড়ুন:

১ রান নিতে গিয়ে রেকর্ড সেঞ্চুরি করে ফেললেন নেওয়াজ

প্রথম ম্যাচে ২ বলে শূন্য, পরের ম্যাচে ৩ বলে শূন্য। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হাসান নেওয়াজের শুরুটা ছিল এমনই ভয়াবহ!

তৃতীয় ম্যাচে তাই রানের খাতা খোলাই ছিল পাকিস্তানের এ ওপেনারের প্রধান লক্ষ্য। আজ অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেটা তো তিনি করেছেনই, গড়েছেন দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও।

জোড়া শূন্য থেকে রেকর্ড এক শর মালিক হয়ে যাওয়া নেওয়াজের এই সাফল্য যে কোনো অর্থেই দুর্দান্ত। ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির মালিক হওয়ার পর অধিনায়ক সালমান আগা ও সহ-অধিনায়ক শাদাব খানকে আলাদাভাবে কৃতিত্ব দিয়েছেন এই ওপেনার।

নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা পাকিস্তানের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষার। আক্রমণাত্মক দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সিরিজ। আর সেটা করার বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে ২২ বছর বয়সী নেওয়াজের ওপর। আক্রমণাত্মক খেলতে গেলে দ্রুত পতনের ঝুঁকিও থাকে। প্রথম দুই ম্যাচে সেটাই হয় নেওয়াজের বেলাতে। দুই ম্যাচেই আউট হন বড় শট খেলতে গিয়ে।

আজও বড় শট খেলেছেন। ২৩৩.৩৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস নিয়ে আলাদা করে এই কথা বলার প্রয়োজনও পড়ে না! তবে আজকে ছিলেন একটু কৌশলী। গত দুই ম্যাচে ইনিংসের প্রথম বল থেকেই চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছেন।

আজ প্রথম ৬-৭টি বল সময় নিয়েছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ফ্লিক শটে রানের খাতা খোলা প্রথম ৭ বলে করেন ৭ রান। এরপরই শুরু করেন ঝোড়ো ব্যাটিং। যে ঝড়ে ভেঙে যায় পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।  

আগের দুই ম্যাচে শূন্য নিয়ে কী ভাবছিলেন নেওয়াজ, ম্যাচশেষে জিজ্ঞেস করা হলে ডানহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘একটা ভাবনা আমার মাথায় ছিল যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমে অন্তত একটা রান করতে হবে। সেটা পাওয়ার পর আমি স্বস্তি অনুভব করেছি এবং চাপ কেটে গেছে।’

অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ককে কৃতিত্ব দিয়ে নেওয়াজ বলেছেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছি, তা দেখে আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক (আগা সালমান) ও শাদাব আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, তারা বলেছেন যে আমি ম্যাচ উইনার, আর সেটাই আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি এবং আমার অধিনায়কের প্রতি আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ।’

রেকর্ড সেঞ্চুরি করা নেওয়াজের প্রশংসা করেছেন কিউই অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েলও, ‘কেউ যদি এভাবে খেলে, (জয়ের) কাজটা কঠিন হয়ে যায়। কৃতিত্বটা তাঁর (নেওয়াজ)।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ