ধামরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৫
Published: 20th, March 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে মাটি ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রকাশ্যে আবুল কাশেম (৫৯) নামে বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বড় হিস্যা জালসা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। আবুল কাশেমের বাড়ি ওই গ্রামেই। তিনি গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মাটি ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে জালসা এলাকায় আবুল কাশেম এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। কাশেমের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষ তাঁকে কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী শাহিদা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর স্বামী হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন। তারা হলেন– গাংগুটিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন, তাঁর ভাই বিল্টু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইম হোসেন, তাঁর ভাই আহাদ, মালেক, একই এলাকার আব্দুল জলিল, বাছেদ, আলী হোসেন, আব্দুল গফুরসহ আরও কয়েকজন।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে কাশেম হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিকেলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসি হিলের ঘটনায় মামলা হয়নি, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আটক ব্যক্তিদের
চট্টগ্রামের ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় আটক পাঁচজনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটি মিছিল থেকে মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশ আশপাশ থেকে পাঁচজনকে আটক করে। তাঁদের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভোরে তাঁদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে থানায় আনা হয়েছিল। রাত পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আসায় জিডিমূলে জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দিয়েছি।’
সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদ ডিসি হিলে প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষ বরণের আয়োজন করেছিল। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন অনুমতিও দেয়। রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির সময় একটি মিছিল থেকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে পরিষদ অনুষ্ঠান বাতিল করে। ৪৭ বছরে এই প্রথম বাধার কারণে নববর্ষের অনুষ্ঠান হলো না ডিসি হিলে। ১৯৭৮ সাল থেকে ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। তবে করোনার কারণে দুই বছর এই আয়োজন বন্ধ ছিল।
প্রতিবাদ সমাবেশডিসি হিলের ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে সিআরবি এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সমাবেশে সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, বাসদের আল কাদেরি, বাসদ মার্ক্সবাদীর সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের ডিসি হিলে ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের দায় জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এড়াতে পারে না। এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জাতিগত অস্তিত্বের জন্য এটা এক অশনিসংকেত।