গুলশানে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
Published: 20th, March 2025 GMT
রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন শুটিং ক্লাবের সামনে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন মহাখালী টিভি গেট এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করতেন। অনেকেই তাঁকে ‘টেলি সুমন’ নামে ডাকেন। তাঁর বাড়ি রংপুরে মিঠাপুকুর উপজেলায়।
সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া রুবেল জানান, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে মিরপুর ভাসানটেক এলাকায় থাকতেন সুমন। মহাখালী টিভি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে তাঁর ইন্টারনেটের ব্যবসা রয়েছে। আগে মহাখালী টিভি গেট এলাকায় থাকতেন তিনি। সুমন বনানী থানা যুবদলের কর্মী ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
সুমনের স্বজন বাদশার দাবি, টিভি গেট এলাকায় ‘একে-৪৭ গ্রুপের’ রুবেল নামে এক ব্যক্তি ডিসের ব্যবসা করেন। তার সঙ্গেই সুমনের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। তিনি মাঝেমধ্যে সুমনকে হত্যার হুমকি দিতেন। ওই গ্রুপের লোকজন তাঁকে গুলি করে থাকতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, গুলির পরই সুমন ঘটনাস্থলে মারা যান। গুলি করা একজনের পরনে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট ছিল। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গুলশানে গুলির ঘটনা শুনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য় গ ট এল ক র ব যবস এল ক য স মন র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নিল সুদানের সেনাবাহিনী
সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। শুক্রবার সেনাবাহিনী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে এই প্রাসাদটি আধা সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। সুদানের রাষ্ট্রীয় টিভি এবং সামরিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সদস্যদের ধাওয়া করার জন্য সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী প্রাসাদের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আরএসএফের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী খার্তুমের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকায় মাঝেমধ্যে গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে।
জাতিসংঘের মতে, এই সংঘাত বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটের দিকে পরিচালিত করেছে।
যার ফলে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে দুর্ভিক্ষ এবং রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। উভয় পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আধা সামরিক বাহিনী দ্রুত প্রাসাদ এবং রাজধানীর বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী আবার ফিরে এসেছে এবং নীল নদের তীরে প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
আরএসএফ খার্তুম এবং প্রতিবেশী ওমদুরমান এবং পশ্চিম সুদানের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। সেখানে তারা দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি আল-ফাশির দখলের জন্য লড়াই করছে।
রাজধানী দখল করলে সেনাবাহিনীর মধ্য সুদানের সম্পূর্ণ দখল দ্রুত নিতে পারবে এবং দুই বাহিনীর মধ্যে দেশের পূর্ব-পশ্চিম আঞ্চলিক বিভাগ আরো শক্ত হতে পারে। উভয় পক্ষই দেশের অবশিষ্ট অংশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং শান্তি আলোচনার কোনো প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হয়নি।
বেসামরিক শাসনে পরিকল্পিত রূপান্তরের আগে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি ও আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধু বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল থেকেই ৩৫ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যা যুদ্ধের আগের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।
এই সংঘাত সুদানকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর ও পূর্ব অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর পশ্চিম ও দক্ষিণের বেশির ভাগ এলাকা আরএসএফের দখলে।
ঢাকা/এনএইচ