আগামী দিনের পথ নির্মাণ করবে তরুণরাই
Published: 20th, March 2025 GMT
সৃজনে-মননে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশজুড়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক কাজ করে চলেছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। সুহৃদদের ভালো কাজের মূল্যায়ন ও অনুপ্রেরণা জোগাতে ২০২৩-২৪ সালে পরিচালিক কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে জেলা, উপজেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চার ইউনিটকে ‘সেরা সুহৃদ’ ঘোষণা এবং পুরস্কৃত করা হয়েছে।
নির্বাচিত চার সুহৃদ ইউনিট হলো– সেরা জেলা– পটুয়াখালী ও রাজবাড়ী (যুগ্মভাবে), উপজেলা– পাবনার ঈশ্বরদী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; ঢাকার অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়। বিজয়ী চার ইউনিটের প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক, সম্মানী ও উপহার তুলে দেন সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার শাহাদাত হোসেন পরশ, মফস্বল সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক হাসান জাকির প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক আসাদুজ্জামান। বিজয়ীদের মধ্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন পটুয়াখালী সুহৃদের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদা আক্তার রিমি, রাজবাড়ী সুহৃদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি, উপদেষ্টা ডা.
সমকাল সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী বলেন, নতুন সময়ে নতুন করে ভাবতে হবে। নতুন সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে। তরুণরাই আগামী দিনের পথ নির্মাণ করবে। সমাজের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার পথ খুঁজতে হবে। তরুণদের এমন কাজে সম্পৃক্ত করার পেছনে আমাদের উদ্দেশ্য, তারা সমাজের জন্য ভালো কাজ করবে এবং নতুনদের সেই পথে নিয়ে আসবে।
আবু সাঈদ খান বলেন, সংগঠন হলো তারুণ্যের মিলনমেলা। এখান থেকে নেওয়ার আছে, তেমনি দেওয়ার আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঙ্তির মতো– দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে। সংগঠনের মাধ্যমে ভালো কবি, লেখক ও সংগঠক তৈরি হতে পারে। দেশ ও মানুষের সমৃদ্ধির জন্য সংগঠন চর্চার জরুরি।
শরীফুল ইসলাম বলেন, সুহৃদরা সমকাল পরিবারের সদস্য। আমাদের সামর্থ্য অল্প, কিন্তু প্রত্যাশা অনেক। আপনাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। আমরা যে কোনো প্রয়োজনে আপনাদের পাশে আছি।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের পাশাপাশি ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, পুরান ঢাকা, টঙ্গী, মিরপুর, মহাখালী, তিতুমীর কলেজসহ ঢাকার সুহৃদরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর সুহৃদ বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সভায় ২০২৩-২৪ সালের কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে সেরা সুহৃদ ইউনিট নির্বাচন ও পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা, উপজেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ‘সেরা সুহৃদ নির্বাচন’ উপকমিটি করা হয়। কমিটির বিবেচনায় চার ইউনিটকে নির্বাচন করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ক ত কর সমক ল ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
কিস্তি ছাড়ের সমঝোতা এখনো হয়নি, তবে আলোচনা চলবে: আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে এ দফার পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সমঝোতা হয়নি বাংলাদেশের। ফলে চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ পাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত জানায়নি সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। আইএমএফ বলেছে, এ বিষয়ে আলোচনা আরও চলবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া যেতে পারে আগামী জুনের শেষ দিকে।
দুই সপ্তাহের পর্যালোচনার পর আজ বৃহস্পতিবার আইএমএফ আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এ ব্রিফিংয়ে আইএমএফের গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান (তিনি মিশনপ্রধান) ক্রিস পাপাজর্জিওসহ অন্য ৯ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। এ বৈঠক হবে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল।
পাপাজর্জিও মনে করেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের পাশাপাশি বিনিময় হারও স্থিতিশীল। রিজার্ভের পরিমাণ এমনকি তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার আরও নমনীয় হলে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বাড়বে।
করব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আইএমএফ বলেছে, করনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য থাকা উচিত। এ ছাড়া করছাড় কমাতে হবে, করনীতিকে সহজ করতে হবে এবং রাজস্ব বৃদ্ধির টেকসই পথ খুঁজে বের করতে হবে।
ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে আইনগত সংস্কার ও কার্যকর সম্পদ মান যাচাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন জোরদারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করে আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার জোরালো অগ্রগতি দরকার।
মিশনটি ৬ এপ্রিল থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ইত্যাদি দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ৬ ও ১৬ এপ্রিল এ মিশন বৈঠক করেছে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও।
এর আগেও কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ মিশন এসেছিল। মিশন শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি ‘স্টাফ লেবেল’ চুক্তি হয়েছিল। এটি আসলে কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে প্রাথমিক ইতিবাচক মনোভাবের প্রকাশ। এবার এ ধরনের স্টাফ লেবেল চুক্তি হয়নি বলে জানা গেছে।
আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের বেলায়। অন্তর্বর্তী সরকারের আশা চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে আগামী জুনে।