পাঁচ দিনের মধ্যে চার দিনই কমেছে সূচক
Published: 20th, March 2025 GMT
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনে নিম্নমুখী ধারা ছিল শেয়ারবাজারে। এ ছাড়া বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। তবে দুর্বল মৌলভিত্তির এবং বিতর্কিত কিছু কোম্পানির শেয়ার ছিল দর বৃদ্ধি এবং লেনদেনের শীর্ষে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ১৩১টির দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৭৬টির দর এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০টির। বেশির ভাগ শেয়ার দর হারানোয় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৫২০১ পয়েন্টে নেমেছে। এ নিয়ে সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই সূচক কমেছে।
ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ব্যাংক, বীমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট, কাগজ ও ছাপাখানা খাতের তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এসব খাতে তালিকাভুক্ত ১৩০ কোম্পানির মধ্যে ২৮টির দর বেড়েছে। বিপরীতে ৮৬টির দর কমেছে। ব্যাংকিং খাতের ৬৫ কোম্পানির মধ্যে ২২টির এবং বীমা খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৩৮টি দর হারিয়েছে।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিমেন্ট এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। তিন খাতের ৪১ কোম্পানির মধ্যে ২৫টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ৭টির দর। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং প্রকৌশল খাতের তুলনামূলক বেশিসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও ভিন্ন চিত্র ছিল ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতে।
এদিকে একক কোম্পানি হিসেবে সাড়ে ৯ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে ছিল প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মাইডাস ফাইন্যান্স। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৯ সালের পর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। সর্বশেষ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০১৫ সালে। অথচ সর্বাধিক প্রায় ১০ শতাংশ দর বেড়ে এ কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ সাড়ে ৬৩ টাকায় কেনাবেচা হয়।
দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পদ্মা লাইফ ২০২১ সালে সর্বশেষ ২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। গতকাল এ কোম্পানির শেয়ার সাড়ে ৯ শতাংশ দর বেড়ে ২৪ টাকা ১০ পয়সাতে কেনাবেচা হয়েছে। প্রায় একই হারে দর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা মাইডাস ফাইন্যান্স ২০২২ সালে দেড় শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। গতকাল ডিএসইতে ৪৯৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের দিনের থেকে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপভুক্ত শাইনপুকুর সিরামিকস প্রায় সাড়ে ২০ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে ছিল শীর্ষে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর ব দ ধ দর ব ড় ছ ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আজ ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দুই কর্মকর্তা
সংস্কার, মানবাধিকার, গণতন্ত্রসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিক। এ ছাড়া মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এদিন আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই তাঁর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রথম বাংলাদেশ সফর। সফরে অ্যান্ড্রু আর হেরাপের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা মিয়ানমারে ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের।
মার্কিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক চুলিক তাঁর চার দিনের সফরে বাংলাদেশে সংস্কার কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা এবং গণতান্ত্রিক পথে ফেরার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, নিকোল অ্যান চুলিক বর্তমানে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হলেও, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি না থাকায় এ দপ্তরের দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। সফরকালে তিনি সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে চাহিদাগুলো জানতে চাইবেন। পাশাপাশি গণমাধ্যমগুলোতে জঙ্গিবাদের মাথাচাড়া দেওয়ার খবর আসায় বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ এবং মানবাধিকার বিষয়ও আসতে পারে।
তিনি বলেন, ১/১১-এর সময় সংস্কারে জোর না দেওয়াটা এক প্রকার ভুল মনে করে মার্কিনিরা। সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়ায় সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় দেশটি।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পূর্ব এশিয়া বিষয়ে অভিজ্ঞ কূটনীতিক অ্যান্ড্রু আর হেরারের বৈঠকে মিয়ানমার পরিস্থিতি প্রাধান্য পাবে। সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁর বৈঠক করার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) বাস্তবায়নে বাধা হিসেবে দেখছে। কারণ মিয়ানমারের কিছু এলাকা বাদে দেশটিতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বর্তমানে মিয়ানমার মাদক চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অপহরণ করে আটকে রাখা, নারী ও শিশুসহ মানব পাচারের অন্যমত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিও রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে দেশটির সেনাবাহিনীসহ বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনগুলো জড়িত। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের অপরাধীরা অপরাধমূলক কার্যক্রম মিয়ানমারের মাটিতে বসে চালাচ্ছে। তাই পুরো পরিস্থিতি আলোচনায় আসবে।