রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনের সড়কে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহতের নাম সুমন মিয়া ওরফে টেলি সুমন (৩৩)। তিনি বাসাবাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ জানান, পুলিশ প্লাজার সামনের সড়কে সুমন মিয়ার সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তির ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

রাতে সাড়ে ১১টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, পুলিশ প্লাজার পশ্চিম পাশে ফজলে রাব্বী পার্কের কোনায় ঘটনাটি ঘটেছে। তখন সেখানে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে সুমনকে গুলি করা হয়। এ সময় সুমন গুলশান-১ এর দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন সড়কের মধ্যে আবারও তাঁকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া জানান, সুমনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স মন র

এছাড়াও পড়ুন:

মদ্রিচের সামনে মুখ থুবড়ে পড়লেন এমবাপে

এবারের উয়েফা ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র যখন হয়, তখন ধারণা ছিল একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে ক্রোয়শিয়া-ফ্রান্স ম্যাচে। সেই ধারণা সত্য করে গোটা ম্যাচেই ছড়াল উত্তাপ। এই মহারণে লুকা মদ্রিচ তার রিয়াল মাদ্রিদের সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপেকে উদ্দেশ্য করে ছুঁড়েন কথার তীর।

ম্যাচে ৩৯ বছরের মদ্রিচের সামনে রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়লেন ২৬ বছর বয়সী এমবাপে। অন্যদিকে ভাগ্য সহায় হচ্ছিল না ফ্রান্স দলের। বহু আক্রমণের পরও গোলের দেখা পায়নি তারা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়শিয়ে। ফলে সেমি ফাইনালের পথে এক পা দিয়েই রেখেছে মদ্রিচরা।

ফ্রান্স তখন দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া। ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ ভেদ করতে সংগ্রাম করছিল ফরাসিরা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মদ্রিচ তার ক্লাব সতীর্থ এমবাপেকে উতক্ত কিছু কথা বলেন। ঘটনা হচ্ছে বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকা যান এমবাপে। পেছন থেকে তাকে পাহাড়া দিচ্ছিলেন মদ্রিচ। এই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে পেনাল্টি দাবি করেন ফরাসি তারকা।

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের প্রতিশোধ নিল ক্রোয়শিয়া

ইউক্রেনে এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের

এই নাটকীয় ডাইভের পর মদ্রিচ চিৎকার করে কিছু বলেন। স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছিল ফরাসি ফরোয়ার্ডকে ডাইভ করা বন্ধ করার জন্য বলছিলেন। যদিও বন্ধুত্ব এবং রসিকতা ছিল মদ্রিচের কথায়। তবে একই সাথে ন্যাশনস লিগের নক আউটের উত্তেজনার প্রতিফলনও ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে, এমবাপে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। প্রাচীর হয়ে ক্রোয়েট গোলরক্ষক সেটি সেভ করেন। এই ২৬ বছর বয়সী ফরাসি সুপারস্টার চারটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করে সবগুলোই শুট করেছিলেন। তবে জালের দেখা পাননি।

ম্যাচের ৮৮ মিনিটে, এমবাপে বক্সের মধ্যে পড়ে গেলে, সহানুভূতির পরিবর্তে তাকে কঠিন কথা শুনান মদ্রিচ। তাকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ