উপকূল রক্ষা বাঁধে ধস, প্রশ্ন পাউবোর তদারকি নিয়ে
Published: 20th, March 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বন্যাতলা এলাকার ৭/২ নম্বর পোল্ডারের উপকূল রক্ষা বাঁধে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাতে আকস্মিকভাবে সেখানকার ১৫০ ফুটেরও বেশি জায়গাজুড়ে বাঁধ পাশের খোলপেটুয়া নদীতে বিলীন হলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ধসে যাওয়া অংশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ফুট বাঁধ অবশিষ্ট থাকায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে শ্যামনগরের ইউএনও রনী খাতুন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ধসে যাওয়া বাঁধের পাশে বসবাসকারী নুরুল ইসলাম জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে বন্যাতলা এলাকার দুটি অংশের বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু শুরু থেকে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার রাতে আকস্মিকভাবে দেড়শ ফুটেরও বেশি জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, সাত দিনের অব্যাহত ধসের কারণে ভাঙন একেবারে বাঁধের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছে। ভাঙন ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলামের ভাষ্য– ভাঙনের শুরু থেকে পাউবোর পক্ষ থেকে কোনো তদারকি ছিল না। বারবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নেওয়ায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের বিস্তৃতি রোধে শুরু থেকে গ্রামবাসী গাছের ডালপালা ও বাঁশ-কঞ্চির ‘বোঝা’ বেঁধে রক্ষার চেষ্টা চালিয়েছিল। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পারলে যে কোনো মুহূর্তে সম্পূর্ণ বাঁধ ধসে গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে।
পাউবোর সংশ্লিষ্ট পোল্ডারের দায়িত্বে থাকা সেকশন অফিসার সুমন আলী জানান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন। নির্দেশনা পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভাঙনকবলিত অংশে জিও ব্যাগ ও সিমেন্টের ব্লক ফেলার প্রস্তাবনা এসেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণে পাউবোর সাব-ডিভিশন ২-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ডিভিশন ২-এর সহকারী প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের ভিডিও এবং ছবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। ভাঙনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে বিষয়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপক ল
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে ২০৫ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারি গ্রেপ্তার
সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে ২০৫ কেজি হরিণের মাংসসহ এক হরিণ শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে কোস্টগার্ড। গত রোববার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টেশন তিনটি স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব মাংসসহ একজনকে আটক করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম বাবু ম্যোলা (২৭)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার পার্শেমারি গ্রামের বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ জানান, গত রোববার রাতে সুন্দরবনসংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন বাজার, খুলনার কয়রার উপজেলার দক্ষিণ খাসিটানা শেকবাড়িয়া নদীসংলগ্ন ও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার জয়মনিরগোল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে শিকার করা ২০৫ কেজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, চামড়া ও আটটি পাসহ বাবু মোল্যাকে আটক করা হয়। তিনি শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা।
কোস্টগার্ডের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাবু মোল্যার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জব্দ আলামতসহ সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ ও নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, বাবুর বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।