ঘুমকুয়াশা
মারুফুল ইসলাম
চোখের মাঝে দেখি চোখের আলো
ঘুমকুয়াশা পাহাড়ে মন টানে
মেঘ মজেছে সোনালি উত্তাপে
অবুঝ ঠোঁট অতীত ভেবে কাঁপে
চোখের মাঝে দেখি চোখের ছায়া
মন রয়েছে মনের ভারে নুয়ে
ঘামের ঘ্রাণে শরীর এলোমেলো
স্মৃতির চেয়ে স্মৃতির ব্যথা ভারী
চোখের মাঝে দেখি চোখের জাদু
রক্ত সে কি ঘুচায় শর্বরী
সুনীল দিন সাগরজলে ডাকে
জীবন আঁকে জঙ্গলের ছবি
মন খারাপ
নভেরা হোসেন
মন খারাপ এখন বৃষ্টিতে ভিজছে
চরাচর ভিজে যাচ্ছে মুষলধারায়
তার সাথে মন খারাপও ঝরছে
একটানা কখনও থেমে থেমে
আকাশে বিদ্যুৎ চমক
সারা দুনিয়া ধূসর হয়ে উঠেছে
বৃক্ষচারীরা মাটিতে নেমে এসেছে
নুহের প্লাবন মনে পড়ছে
প্রাণিকুল জোড়া বেঁধে আছে
তুমি শুধু একজন একক
লাটিমের মতো ঘূর্ণায়মান
আসমানব্যাপী মাশরুম চাষ
ঝাঁকে ঝাঁকে মিগ্ টুয়েন্টিফোর
চোয়ালের মাংস কিছুটা ঝুলে পড়েছে
কোনো কিছুই চিরন্তন নয়
কোনো মানুষ, প্রেম-ঘৃণা-ভালোবাসা
তবু যেন এই মুহূর্তে দারুণ এক টর্নেডো
ভেদ করেছে তোমাকে
এফোঁড় থেকে ওফোঁড়
চারদিকে ধু-ধু প্রান্তর
ক্রমাগত শুনতে পাচ্ছ নিজেকেই
এ যেন অনন্ত বহমান
আদি নেই অন্ত নেই
খুঁড়ে চলেছ পাতালের ঠিকানা
বুক থেকে গল গল করে রক্ত ঝরছে
চোখ থেকে অশ্রু বৃষ্টি
তোমরা কেউ এখানে এসো না
শূন্যতা ভেদ করে অচিনের খোঁজে
বাড়ির পাশে আরশিনগর
সেথায় এক পড়শি বসত করে
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে
এ এক অনন্ত যাত্রা
মন খারাপ আজ মাটিতে লম্বমান
ঝরে পড়ছে অঝোর ধারায়
গুঁড়ো গুঁড়ো মিহিদানা
জামদানির ঝালরকাটা প্রকৃতির জলরঙে
মিলিয়ে যাবার আগে
সুমী সিকানদার
ঠিক মধ্যপথে দাঁড়িয়ে পড়েছি।
সামনে যাবার যেমন কোনো বাঁক নেই
পেছনে তাকাবার তেমন কোনো আলোও নেই;
যাতে করে আমি দেখতে পাই পুরোনো ঘর বা বারান্দায় টাঙানো ছবি।
ছোট একজীবন, ছোট ছোট তোমার-আমার যত ভুল
রেহাই দেয়নি আমাদের।
আমি বরাবর বিদ্ধ ক্ষতযুক্ত
আমি বরাবর শব্দহীন বিক্ষিপ্ত
আর তুমি উধাও।
কথা বলতে পারিনি তা নয়
যা বলেছি অসময়ে
যার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছিল বেলা বাড়ার আগেই।
আচমকা থেমে যাওয়া সকল কথা
আমাকে পুরোনো কোলাহলের মধ্যমা মনে করায়
যে সময়টুকু ভরা প্রাণে,
সুহাসিনী ফুলের তাড়ায়, বিরল বাতাসে ওড়া আমি।
তখন সম্ভবত আমার অন্য ভাষার নাম ছিল
তুমি ছিলে একমাত্র দোভাষী।
নাহ এ মুহূর্তে আর সে সব দিনের ভাষায় ভরসা নেই
এখন এই মধ্যপথে আমি
দ্রুত সিদ্ধান্তের মুখোমুখি।
পরাজিত ক্ষতগুলো লুকিয়ে ফেলেছি সদ্য হারানো কুয়াশায়
বেশ হাসির খোরাক হতাম তা না হলে।
বিলম্ব মায়ায় কিছু বন্ধু জানে আমি ভালোবাসি কাঁচাফুল
আমি তার নাম ভালোবাসি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মন খ র প
এছাড়াও পড়ুন:
গরমে স্বস্তির পানীয়
চড়া রোদ আর তীব্র গরমে জীবন যখন হয়ে ওঠে ক্লান্তিকর, তখন এক গ্লাস ঠান্ডা পানীয় যেন স্বস্তির চুমুক। এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কিছু সুস্বাদু ও উপকারী পানীয়ের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী ইসরাত জাহান লাকী
ফ্রুট পাঞ্চ
উপকরণ: তরমুজের রস ১ কাপ, ১টি লেবুর রস, আনারসের রস ১ কাপ, সুগার সিরাপ ১ কাপ, বরফ পরিমাণমতো, লবণ ১ চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
কোল্ড ডেভিনশন
উপকরণ: ঘন দুধ ২ কাপ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ স্কুপ, চকলেট হরলিক্স সিকি কাপ, চিনি সিকি কাপ ও বরফ।
প্রস্তুত প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করার সময় ১/২ কাপ নিউট্রেলা বা নসিলা দিলে নিউট্রেলা সেক হয়ে যাবে। এর সঙ্গে ৪ পিচ ওরিও গুঁড়া করে দিতে হবে। পরিবেশনের সময় ওপরে চকলেট কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
স্মোক ম্যাংগো ধামাকা
উপকরণ: কাঁচা আম ২টি, সরিষার তেল পরিমাণমতো, চিনি সিকি কাপ, কাঁচামরিচ ১টি, কাসুন্দি ১ টেবিল চামচ, টালা জিড়া গুঁড়া ১/২ চামচ, পানি দেড় কাপ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সামান্য লবণ, বরফ কুচি।
প্রস্তুত প্রণালি: কাঁচা আমের গায়ে তেল মাখিয়ে নিয়ে চুলায় পুড়িয়ে নিন। এরপর পোড়া আম পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। আমের সঙ্গে সব উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ব্লু মুন ড্রিংকস
উপকরণ: বরফ কুচি ৪/৫ কিউব, সোডা ওয়াটার ১ গ্লাস, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, নীল রঙের ফুড কালার ১ ড্রপ, লবণ ১ চিমটি।
প্রস্তুত প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর লেবুর স্লাইজ ও পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে
পরিবেশন করুন।