জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেড় যুগ আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলুর বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৫ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বরকতউল্লার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুরুল আলম সাক্ষ্য দেন। ২৫ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় বরকতউল্লা আদালতে হাজির ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত চত্বরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে দেড় শর বেশি মামলা দিয়েছে। সেসব মামলায় তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনি আশা করেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে বরকতউল্লার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স ক ষ য গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

জনশক্তি রপ্তানিকারক নুরুল আমিনের ৮ বছর কারাদণ্ড

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রোপাইটর নুরুল আমিনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন মঙ্গলবার এ রায় দেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁকে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁকে আরও তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। এ জন্য তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। জনশক্তি রপ্তানিকারক নুরুল আমিন রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা মডেল থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন আবদুল আজিজ। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনশক্তি রপ্তানিকারক নুরুল আমিনের ৮ বছর কারাদণ্ড
  • খুলনার সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা