বরকতউল্লা বুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, যুক্তিতর্ক শুনানি ২৫ মার্চ
Published: 20th, March 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেড় যুগ আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলুর বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৫ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বরকতউল্লার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুরুল আলম সাক্ষ্য দেন। ২৫ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় বরকতউল্লা আদালতে হাজির ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত চত্বরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে দেড় শর বেশি মামলা দিয়েছে। সেসব মামলায় তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনি আশা করেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে বরকতউল্লার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স ক ষ য গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তাঁর মেয়ে ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তাঁর মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমির হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর ১৮টি ব্যাংক হিসাবে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
এদিকে আমির হোসেনের শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরী বিরুদ্ধে মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক সূত্র বলছে, তাঁর ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।