বিশ্বের সব মা-ই সন্তান জন্ম দেন, কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা: জামায়াতের আমির
Published: 20th, March 2025 GMT
‘গাজা সব সময় অপরাজেয়’ বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, গাজাবাসীরা কোরআনের সঙ্গী এবং কোরআনের যোদ্ধা। বিশ্বের সব মা-ই সন্তান জন্ম দেন, কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা।
রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (শাখা-৩) মাঠে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে কাফরুল থানা পশ্চিম জামায়াতের ইফতার মাহফিলে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, গাজাবাসী ভয়কে জয় করেই গাজায় বসবাস করছেন। তাঁদের জন্মভূমি ত্যাগ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হলেও আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় তাঁরা সেখানেই রয়েছে গেছেন। তিনি বলেন, মূলত বিশ্বের সব মা-ই জন্ম দেন সন্তান। কিন্তু গাজার মায়েরা জন্ম দেন যোদ্ধা। তাই গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জায়নবাদীরা একদিন পরাভূত হবে। তাই এ নির্মমতা দেখে কারও পক্ষে বসে থাকার সুযোগ নেই। বরং যাঁর যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা নিয়েই মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
গাজায় নির্মম হামলা ও গণহত্যা বন্ধে এবং মজলুম গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
মানবরচিত মতবাদে দেশ পরিচালিত হওয়ায় সমাজে এত অস্থিরতা ও অশান্তি বলে মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআনকে বিজয়ী করা গেলে কোনো ধর্মের মানুষেরই সমস্যা থাকবে না। দেশের সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। কেউ কারও হক নষ্ট করার দুঃসাহস করবে না। সমাজে কোনো দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি থাকবে না। রাষ্ট্রই নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কাফরুল থানা পশ্চিম জামায়াতের আমির আবদুল মতিন খানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আতিক হাসান রায়হানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা। এ ছাড়া মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি ফখরুদ্দিন মানিক, মহানগর উত্তরের নেতা শাহ আলম, আনোয়ারুল করিম, কাফরুল উত্তর থানার আমির রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত র আম র জন ম দ ন র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ছেত্রি চ্যালেঞ্জ
২০২৪ সালের ৬ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচই ছিল ভারতের জার্সিতে সুনীল ছেত্রির শেষ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে সুনীলের বিদায় বলার পর ভারতও যেন জিততে ভুলে গিয়েছিল। ১৬ মাসে ১২ ম্যাচ খেলা দলটি পারেনি কোনো ম্যাচ জিততে। কোচ মানোলো মার্কুয়েজের ওপর বাড়তে থাকে চাপ। বরখাস্ত হওয়ার শঙ্কায় থাকা মানোলো ডাক দিলেন ছেত্রিকে।
২৫ মার্চ শিলংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে কোচের ডাকে সাড়া দিয়ে ৪০ বছর বয়সী ভারতীয় ফুটবলের এ তারকা ফিরলেন অবসর ভেঙে। ভারতও ফিরল জয়ে। বুধবার শিলংয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ভারত জিতেছে ৩-০ গোলে। এই জয়ে ছেত্রি করেছেন এক গোল। গোলের পর উদযাপন প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁর চোখের কোণে জল এসেছিল। ভারতের জার্সিতে তাঁর গোলসংখ্যা হলো ৯৫। গোল করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা এ তারকা জানিয়ে দিলেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। বয়স তাঁর কাছে স্রেফ সংখ্যা। বলা যায়, এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ এখন সুনীল ছেত্রি।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাংলাদেশের আতঙ্ক ছেত্রি। এক-দু’বার নয়, বহুবার বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মালেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি। তাই তো শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দুর্ভাবনার নাম বেঙ্গালুরুর এ ফরোয়ার্ড। অনেকের ধারণা, বাংলাদেশে যখন ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা এসেছেন, তাঁকে টেক্কা দেওয়ার জন্যই ভারত ফিরিয়ে এনেছে ছেত্রিকে।
শেফিল্ড ইউনাইটেডে হামজা ডিফেন্সে খেলেন আর ছেত্রি হলেন ফরোয়ার্ড। তাই ভারতের আক্রমণ আর বাংলাদেশের রক্ষণভাগের লড়াইয়ের ভেতরে মূল লড়াই হবে মূলত হামজা ও ছেত্রির মধ্যে। যে লড়াইয়ে হামজাকে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জামাল দুই তারকার কে সেরা বলতে গিয়ে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের অন্যতম তারকা ছেত্রি। তবে হামজা কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার।’