গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পানিতে ডুবে মোমিন মিয়া (৫) ও মোরছালিন মিয়া (৬) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সীচা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

মোমিন মিয়া ওই গ্রামের নাহিদ মিয়ার ছেলে ও মোরছালিন মিয়া একই গ্রামের মাইদুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালের দিকে বাড়ির পাশে খেলছিল ওই শিশুরা। এরই মধ্যে সবার অজান্তে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুকুরে তাদের একজনের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, “পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/মাসুম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেগুন নিয়ে মাথায় হাত সুন্দরগঞ্জের কৃষকের

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ বাজার। গতকাল বুধবার সকাল থেকে সেখানে বেগুন নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও যেন কেনার লোক নেই। কয়েকদিন আগেই প্রতি কেজি বেগুন ৮ টাকা বিক্রি করেছেন তারা।

এখন সেটা কমিয়ে ৫ টাকা কেজি দরে ছেড়ে দিচ্ছেন, তবু কেনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ৫ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা, ক্ষেত থেকে নিয়ে আসার পরিবহন খরচও উঠছে না। সব মিলে এবার বেগুনের বাম্পার ফলন হলেও বিক্রি করতে গিয়ে মাথায় হাত সুন্দরগঞ্জের কৃষকদের। 

কথা হচ্ছিল উপজেলার বেলকা চরের বেগুন চাষি হাসেন আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, যে দরে বেগুন বিক্রি করছেন, তাতে পরিবহন এবং ক্ষেত থেকে বেগুন ওঠানোর দিনমজুর খরচ উঠবে না। অথচ শীতকালে দাম ভালো হওয়ায় পাঁচ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছিলেন। এতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এ পরিস্থিতি হবে, তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। পাঁচ বিঘা জমির বেগুন নিয়ে তাঁকে অন্তত লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। 

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে পনেরোটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৫০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে, যার বেশির ভাগ চাষ হয়েছে তিস্তার চরে। ফলন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। 

কাপাসিয়ার বাদামের চরের আরেক চাষি আনছার আলী বলেন, শীতে বেগুনের ভালো দাম পাওয়া গেছে। বর্তমানে দাম অনেক কম। দেড় মাস আগেও ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। অথচ এখন খরচই উঠেছে না। কাঁচাবাজারে বেগুন মজুতও করে রাখা যায় না। ফলে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। 

সুন্দরগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শামীম মিয়া বলেন, বর্তমানে চরের বেগুনের ব্যাপক আমদানি হয়েছে। মান অনুসারে প্রতি কেজি বেগুন ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষিদের যে খরচ, তাতে ৫ টাকা দরে কেজি বিক্রি করলে লাভ করতে পারবে না। সংরক্ষণাগার না থাকায় এক দিনের বেশি কাঁচামাল মজুত রাখা যায় না। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির বলেন, শীতকালে সবজির বাজারদর অনেক বেশি হওয়ায় চরের কৃষকরা চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তিস্তার চরাঞ্চল এখন কৃষিতে সম্ভাবনাময় স্থানে পরিনত হয়েছে। ধান, গম, আলু থেকে শুরু করে সব ধরনের ফসল ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে চরে বেগুনের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে দরপতন হওয়ায় চাষিদের একটু কষ্ট হচ্ছে। মৌসুমভিত্তিক এসব ফসল সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষণাগার থাকলে কৃষকরা আরও ভালো দাম পেতেন। সংরক্ষাণার নির্মাণের জন্য সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং এনজিওর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেগুন নিয়ে মাথায় হাত সুন্দরগঞ্জের কৃষকের