মেয়েসহ আমুর অবৈধ সম্পদ সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা, ৩ মামলা
Published: 20th, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরির অবৈধ সম্পদের পরিমাণ সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদক মহাপরিচালক মো.
প্রথম মামলায় আমুর বিরুদ্ধে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
টুঙ্গিপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদকের অভিযান
অবৈধ সম্পদ
সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার ও ফারহানার বিরুদ্ধে মামলা
আমু পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে অবৈধভাবে এই সম্পদ অর্জন করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় একটি মামলা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়, সুমাইয়া হোসেন তার পিতা আমির হোসেন (আমু) পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পিতার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এছাড়া সুমাইয়া হোসেন ১৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় আমির হোসেন আমু ও তার শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীকে আসামি করা হয়েছে। সৈয়দা হক মেরীর কোনো বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও আমুর সাহায্যে তিনি সম্পদশালী হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সৈয়দা হক মেরীর বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় ও ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৬ নভেম্বর ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি আমুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে ১৪ আগস্ট আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ হক ম র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক এমপি মৃণাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য মৃণাল কান্তি দাস ও তার স্ত্রী নিলীমা দাসের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জুলফিকার বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মামলা দুটি করেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, “মৃণাল কান্তি দাস আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখেন। তার নিজ নামীয় ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংওয়র সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন।”
মৃণাল কান্তির স্ত্রী নিলীমা রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি নিলীমা দাস তার স্বামী মৃণাল কান্তি দাসের সহায়তায় নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৪৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখেন।
এছাড়া নিলীমা দাস নিজ নামীয় ৩০টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৬ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন।
তাই তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং ১৯৪৭এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে অর্থের রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। এই মামলায় মৃণাল কান্তি দাসকেও আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা/রতন/এস