নুরুল ইসলামের অর্থপাচার-কর ফাঁকির বিষয় কেন নিষ্পত্তি হবে না, জানতে চেয়ে রুল
Published: 20th, March 2025 GMT
পুলিশের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের অর্থপাচার ও কর ফাঁকির বিষয় কেন নিষ্পত্তি হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
পরে রিটকারী আইনজীবী বলেন, “কয়েকদিন আগে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে একটা বিষয়ে অবগত হয়, বড় ধরনের অর্থপাচার এবং রাজস্ব ফাঁকির একটা ঘটনা ঘটে। সাবেক ডিআইজি নুরুল ইসলাম দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বত্ব কিনেছেন এটা হচ্ছে ব্রড কাস্টিং অথরিটি। এর কাজ হচ্ছে খেলাধুলা ব্রডকাস্ট করা। ব্রড কাস্টিং অথরিটি কিনতে গিয়ে যে অর্থ তিনি বিদেশে প্রেরণ করেছেন, হুন্ডির মাধ্যমে সম্ভবত প্রেরণ করেছেন। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।এ বিষয়ে দুইটা অর্থরিটিকে লেটার অফ রিপ্রেজেন্টেশান প্রদান করি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং এনবিআরের ইন্টেলিজেন্স সেলকে প্রদান করি।তবে আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি।বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করি। রিটের শুনানি হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন। আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।”
জানা গেছে, নুরুল ইসলাম জুলাই গণহত্যায় জড়িত পলাতক একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মইনুল হক চৌধুরীকে দিয়ে দুবাইতে টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং নামে একটি কোম্পানি (TSM) প্রতিষ্ঠা করেন। টিএসএম ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্ব অর্জন করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৪ এবং দুবাই, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে এসব তহবিল স্থানান্তর করে আইসিসিকে প্রদান করা হয়েছিল মূলত হুন্ডির মাধ্যমে এবং আংশিকভাবে তা করা হয়েছিল আন্ডার-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে, ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারি কর এড়িয়ে। দুবাইভিত্তিক টিএসএম, যা নিয়ন্ত্রকদের ফাঁকি দিতেই বাংলাদেশে তাদের নাম পরিবর্তন করে টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নাম দিয়ে বাংলাদেশি সম্প্রচারকদের কাছে এসব খেলার স্বত্ব সরবরাহ করেছিল।
ঢাকা/মামুন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল ইসল ম কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নুরুল ইসলামের অর্থপাচার-কর ফাঁকির বিষয় কেন নিষ্পত্তি হবে না, জানতে চেয়ে রুল
পুলিশের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের অর্থপাচার ও কর ফাঁকির বিষয় কেন নিষ্পত্তি হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
পরে রিটকারী আইনজীবী বলেন, “কয়েকদিন আগে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে একটা বিষয়ে অবগত হয়, বড় ধরনের অর্থপাচার এবং রাজস্ব ফাঁকির একটা ঘটনা ঘটে। সাবেক ডিআইজি নুরুল ইসলাম দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বত্ব কিনেছেন এটা হচ্ছে ব্রড কাস্টিং অথরিটি। এর কাজ হচ্ছে খেলাধুলা ব্রডকাস্ট করা। ব্রড কাস্টিং অথরিটি কিনতে গিয়ে যে অর্থ তিনি বিদেশে প্রেরণ করেছেন, হুন্ডির মাধ্যমে সম্ভবত প্রেরণ করেছেন। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।এ বিষয়ে দুইটা অর্থরিটিকে লেটার অফ রিপ্রেজেন্টেশান প্রদান করি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং এনবিআরের ইন্টেলিজেন্স সেলকে প্রদান করি।তবে আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি।বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করি। রিটের শুনানি হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন। আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।”
জানা গেছে, নুরুল ইসলাম জুলাই গণহত্যায় জড়িত পলাতক একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মইনুল হক চৌধুরীকে দিয়ে দুবাইতে টোটাল স্পোর্টস মার্কেটিং নামে একটি কোম্পানি (TSM) প্রতিষ্ঠা করেন। টিএসএম ডিআইজি নুরুলের দুর্নীতির অবৈধ অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সম্প্রচার স্বত্ব অর্জন করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৪ এবং দুবাই, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে এসব তহবিল স্থানান্তর করে আইসিসিকে প্রদান করা হয়েছিল মূলত হুন্ডির মাধ্যমে এবং আংশিকভাবে তা করা হয়েছিল আন্ডার-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে, ব্যাংকিং চ্যানেল এবং সরকারি কর এড়িয়ে। দুবাইভিত্তিক টিএসএম, যা নিয়ন্ত্রকদের ফাঁকি দিতেই বাংলাদেশে তাদের নাম পরিবর্তন করে টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নাম দিয়ে বাংলাদেশি সম্প্রচারকদের কাছে এসব খেলার স্বত্ব সরবরাহ করেছিল।
ঢাকা/মামুন/এসবি