জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকারের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শেখ হাসিনার পতন থেকে শিক্ষা নেয়নি বর্তমান সরকার।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহুম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন শেখ হাসিনা আমলের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।

শাসনামলে ‘গৃহপালিত’ বিরোধীদলের তকমা পাওয়া জাপা আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিল। কয়েকবার আলোচনায় ডেকেছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নেওয়া জাপাকে স্বৈরাচারারের দোসর আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে সরকার আর ডাকছে না জাপাকে। দলটির কার্যালয়ে হামলাও হয়েছে। জাপাও সরকারের সমালোচনা করছে। রাতের ভোটের নির্বাচনে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

জি এম কাদের বলেছেন, যে সময়ের মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়েছে তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই দলের  সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। তখন নাকি দুর্নীতি করেছি! জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। সামনে সুদিন আসছে, জনগণ জাপার সঙ্গে আছে। ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্তি দিতে যে পথে যেতে হয়, সে পথেই এগিয়ে যাব। জেলে নিলে নেবে, ফাঁসি দিলে দেবে। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র দ র ন ত র অভ য গ এম ক দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছাড়াল

সবজির বাজারে ক্রেতার স্বস্তি থাকলেও, দুঃসংবাদ রয়েছে মুরগির বাজারে। গত এক সপ্তাহে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা দর বেড়েছে মুরগির। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা বাড়ার কারণে দর বাড়ছে। একই সঙ্গে আগের মতোই চড়া দর দেখা গেছে চালের বাজারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, কলমিলতা বাজার ও তেজকুনিপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা দরে। সপ্তাহ খানেক ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৯০ টাকার মতো। সে হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে কেজিতে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে সোনালি জাতের মুরগি কেনা গেছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। 

দর বাড়ার কারণ হিসেবে কারওয়ান বাজারের নুরজাহান চিকেন ব্রয়লার হাউসের বিক্রয়কর্মী মো. নবী বলেন, প্রতি বছর রোজার শেষদিকে মুরগির দর বেড়ে যায়। তাছাড়া এখন চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য দাম বাড়তি। তিনি বলেন, প্রতিদিনই একটু একটু করে দর বাড়ছে মুরগির। এ ছাড়া গরুর মাংসের কেজি কেনা যাবে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। তবে ডিমের দাম কমতির দিকে। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। মাসখানেক ধরেই এ দরের আশপাশে রয়েছে ডিম।

সবজির বাজারে এখনও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতা। উচ্ছে এবং ঢ্যাঁড়শের মতো দু-তিনটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দর কম। মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। ঢ্যাঁড়শ ও উচ্ছের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দর এখন তলানিতে। প্রতি কেজি আলু কেনা যাচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। 

পেঁয়াজের দরও কমছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। রসুনের দরে পরিবর্তন নেই। আগের মতোই আমদানি করা রসুনের কেজি ২০০ থেকে ২১০ এবং দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্বাভাবিক দর দেখা গেছে এলাচের। খুচরা ব্যবসায়ীরা মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি করছেন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে। 

এদিকে চালের বাজারে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। গত সপ্তাহের মতোই সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫, মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৫ এবং মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের বাজারে বোতলের আকাল এখনও আছে। খোলা সয়াবিন ও পামওয়েলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়নি। পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। দু্ই-তিন মাস ধরে বোতলজাত তেলের সরবরাহ ঘাটতি নিয়েই চলছে বাজার। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ