ঈদে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এল ইজি ফ্যাশন
Published: 20th, March 2025 GMT
মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর সেই উৎসবের খুশিতে যদি বাহারি ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় নতুন নান্দনিক পোশাক না থাকে তাহলে ঈদের আনন্দই যেন মাটি হয়ে যায়।
প্রতি বছরের মত এবারের ঈদেও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘ইজি ফ্যাশন’ সৌন্দর্য পিপাসু ফ্যাশন সচেতন মানুষদের জন্য নিয়ে এসেছে বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি।
আর সেই রঙে ভিন্নতা এনে ফ্যাশন প্রিয়দের মন রাঙাতে আকর্ষণীয় সব পোশাক ও ফ্যাশন অনুষঙ্গে সেজেছে দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ইজি’ ফ্যাশন হাউসের আউটলেটগুলো। ছেলেদের ফ্যাশনে এক্সক্লুসিভ কালেকশনে বরবারই একধাপ এগিয়ে ইজি।
সব ধরনের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই তাদের ঈদ আয়োজন। এবারের ঈদে বাহারি সব ডিজাইন কালেকশন রয়েছে ইজি শোরুমগুলোতে। এবারের বিশেষ আয়োজন থাকছে নতুন নতুন ডিজাইন সব পাঞ্জাবি। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট, পলো-শার্ট, ফরমাল শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট।
ইজির স্বত্তাধিকারী ও ডিজাইনার তৌহিদ চৌধুরী বলেন, “শুধু মুনাফা নয় কাস্টমারদের সেবা দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। ঢাকা ছাড়াও আমাদের বাংলাদেশের সকল জেলাতেই ইজির শো-রুম রয়েছে।”
পোশাক কিনতে যেতে পারেন ব্র্যান্ডটির যেকোনো আউটলেটে।এছাড়া অনলাইনেও (https://www.
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নান উৎসবের প্রস্তুতি সভায় দুই পক্ষের হট্টগোল
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভা হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের হট্টগোলের মধ্যে শেষ হয়েছে। এ সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শংকর সাহা বক্তব্য প্রদান কালে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলতে থাকেন "এই সংকর সাহা সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন ৮৫টি মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে সেলিম ওসমানের পরামর্শে। এরপর থেকেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা যা এক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
পরে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা যদি দুই গ্রুপ এভাবে ঝগড়া করেন তাহলে অনুষ্ঠান আয়োজন করা কষ্ট হয়ে যাবে। পুণ্য স্নানে যারা পুণ্যার্থী আসবেন তারা আতঙ্কিত হয়ে থাকবেন আপনাদের দুই পক্ষের ঝগড়ার কারণে।
জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, আমি একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হয়ে আজ লজ্জাবোধ করছি আপনাদের এই আচরণের কারণে। আপনারা যদি এই আচরণ অব্যাহত রাখেন তাহলে পূণ্য স্নানে পাপ মোচন হবে না বরং আরো পাপের বোঝা ভারী হবে। এটা পেশি শক্তি দেখানোর জায়গা না। আপনারা নিজেরা ঝগড়া বিবাদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হন। আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর আয়োজন করব।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এই স্নান উৎসব আয়োজনের লক্ষ্যে দুটি পাল্টাপাল্টি কমিটি রয়েছে। আমি নিশ্চিত এই দুই কমিটি একটা সংঘর্ষে জড়াবে। তাই আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বলবো সকলকে নিয়ে একটি আয়োজক কমিটি গঠন করে দেয়ার জন্য।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে এই বছর এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে তারা এই রাষ্ট্রের শত্রু দেশের শত্রু। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বহি:বিশ্বে নষ্ট করার জন্য এটা একটা চক্রান্ত হিসেবে আমরা ধরে নেবো। তাই আমরা চাই সকলে মিলেমিশে একটি সুন্দর আয়োজন করতে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব আয়োজনের লক্ষ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা গুলো আছে সেগুলো সমাধানে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা লিখিত আকারে পড়ে শুনান এবং দ্রুত তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপ-পরিচালক ( উপ- সচিব) ড. মো: মনিরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিইও মো. নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কানিজ ফারজানা শান্তা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, বাসুদেব চক্রবর্তী, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক তাপস কর্মকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন স্নান উদযাপন ফ্রন্ট এর আহবায়ক অপর্ণা রায়, সদস্য সচিব জয়কে রায় চৌধুরী বাপ্পি, উপদেষ্টা ননী গোপাল সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক উত্তম সাহা, এড. রাজিব মন্ডলসহ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গসহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।