নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: মনির উদ্দিন পাপ্পু
Published: 20th, March 2025 GMT
গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থান সকল রাজনৈতিক শক্তিকে একসাথে দাঁড় করিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। সেই নতুন আকাঙ্ক্ষার প্রধান দিক হচ্ছে, শুধুমাত্র এক ফ্যাসিস্টকে বিদায় করা না বরং এদেশের অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ; যারা দেশের অর্থনীতিতে বিকাশে মূল ভূমিকা পালন করে, তাদের জীবনমানের পরিবর্তন হবে এবং বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতির মানুষেরা, সকলের নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারবে এমন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করা। এজন্য গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্খার নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীতে লালবাগ কেল্লার বিপরীতে ওয়াটার গার্ডেন কনভেনশন হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির উদ্যোগে ‘সংবিধানসংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে আলোচনা সভা হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান, সদস্য সচিব মো.
আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সংগঠক ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করবেন চকবাজার থানার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র জন ত ক ব
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে বর্ষবরণের শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা, আয়োজন সীমিত
রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিনকে স্বাগত জানাতে বাঙালি মেতে উঠবে নানা আয়োজনে। বাঙ্গালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অন্যতম দিনটিকে কেন্দ্র করে সর্বত্রই বইছে উৎসবের আমেজ। জাতি-গোত্র-বর্ণ সব ভেদাভেদ ভুলে সকলে একযোগে দিনটি পালন করবে। বৈশাখের আগমনীকে নতুন সুরে, গানে, তালে বরণ করে নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগসহ একাধিক বিভাগ নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এখনও ব্যানার, ফেস্টুন তৈরি করা হচ্ছে। শোভাযাত্রায় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান, বাঙালির ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরতে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন মোটিফ। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার আয়োজনের ব্যাপ্তি কিছুটা কমেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কেউ ব্যস্ত শখের হাড়ির ভাস্কর্য বানাতে, আবার বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রঙ তুলিতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় কেউ ব্যস্ত ঝাঁপি রাঙাতে, কেউ কেউ বানাচ্ছে ডাকবাক্স। আবার কেউ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে ২৪ ফুট লম্বা কলম বানাচ্ছেন। চারুকলা অনুষদ চত্বরে নবীন আঁকিয়েরা গভীর মনোযোগে জলরঙের ছবি আঁকছেন। মাঠজুড়ে বিরাজ করছে বাঁশের ফালি দিয়ে শখের হাঁড়ি ও পালকি তৈরির ব্যস্ততা। আবার কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যের মানবতার বিপর্যয়কে প্রতীকী করে শলাকা দিয়ে মিসাইল বোমা ও ড্রোন প্লেন বানিয়েছেন।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা দুটি বিষয়কে প্রতীক হিসেবে ধারণ করে এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে।
এ বিষয়ে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, এবারের আয়োজনে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চব্বিশের প্রতিফলন থাকছে, যা এবারের বৈশাখে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যেমন মুগ্ধকে স্মরণ করে পানির বোতল থাকছে, ২৪শের চেতনায় ২৪ ফুট কলম থাকছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের মানবতার বিপর্যয়ও তুলে ধরা হবে। বিমান থাকছে। আয়োজনে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ২৪ শের কিছু স্লোগানও। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। প্রথমে উদ্বোধনী গানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হবে, দুটো গানের পর নাচ। তারপর উপাচার্য র্যালি উদ্বোধন করবেন। র্যালি শেষে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যার পর্যন্ত । বিগত বছরে তিন দিনব্যপী অনুষ্ঠান হলেও এ বছর সীমিত করা হয়েছে। একদিনই আয়োজন হবে।
এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের ডীন মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজন থাকছে। এবারও শোভাযাত্রা হবে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তবে আমাদের সকল শিক্ষার্থীরা এখনো এসে পৌঁছায়নি। এটা তো শিক্ষার্থীদের আয়োজন। তাই আয়োজন কিছুটা সীমিত।
নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ আয়োজন আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক আয়োজন। এটা সমগ্র বাঙালি জাতির উৎসব। তাই আশা করছি তেমন অপ্রীতিকর কোনো বিষয় হবে না। আয়োজন রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ীই হবে।