ইউক্রেন বৃহস্পতিবার রাশিয়ার একটি কৌশলগত বোমারু বিমানঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে আঘাত হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় যুদ্ধের সম্মুখ সারির প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে বিশাল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

রয়টার্সের যাচাইকৃত ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বিমানঘাঁটি থেকে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ছড়িয়ে পড়ে, যা কাছাকাছি কটেজগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ান অঞ্চলের উপর দিয়ে ১৩২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

অন্যান্য যাচাইকৃত ভিডিওতে ভোরের আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী এবং তীব্র আগুন দেখা গেছে।

সোভিয়েত আমলের এঙ্গেলস ঘাঁটিতে রাশিয়ার টুপোলেভ টিইউ-১৬০ পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ভারী কৌশলগত বোমারু বিমান রয়েছে, যা অনানুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট সোয়ান নামে পরিচিত।

সারাতোভের গভর্নর রোমান বুসারগিন জানিয়েছেন, এঙ্গেলস শহরে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার ফলে একটি বিমানঘাঁটিতে আগুন লেগেছে এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি নির্দিষ্টভাবে এঙ্গেলস ঘাঁটির কথা উল্লেখ করেননি, তবে এটি এই এলাকার প্রধান বিমানঘাঁটি।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে এবং দ্বিতীয় দফায় গোলাবারুদের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাজেট বরাদ্দে অগ্রাধিকার দিতে হবে

বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে দারিদ্র নিরসন, কর্মসংস্থান তৈরি, নারী ও শিশু উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবেলায় সহায়ক কার্যক্রমে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছর বাজেট প্রণয়ন নিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উদ্দেশে বুধবার এক পরিপত্র জারি করে এসব পরামর্শ দেওয়া হয়। 

পরিপত্রে বলা হয়, বাজেটে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক হয়, এমন সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের প্রাক্কলন এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন তা মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ব্যয়সীমার মধ্যেই হয়। এছাড়া সাধারণভাবে বাজেটে কোনো প্রকার থোক বরাদ্দ প্রস্তাব করা যাবে না।

এতে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতির আওতাভুক্ত সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বাজেট প্রণয়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বিস্তারিত বাজেট প্রাক্কলন এবং একইসঙ্গে পরবর্তী ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের প্রক্ষেপণ প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বাজেট প্রস্তাব আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাতে বলা হয়।

পরিপত্রে বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে– মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোতে বর্ণিত কৌশলগত উদ্দেশ্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, ‘রি-স্ট্রাটেজিসিং দ্য ইকোনমি অ্যান্ড মবিলাইজিং রিসোর্সেস ফর ইক্যুয়িটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক টাস্কফোর্স রিপোর্ট এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের নিজস্ব নীতিমালায় অন্তর্ভূক্ত সরকারের নীতি ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা।

এছাড়া সরকারের মৌলিক নীতি নির্ধারণী দলিলগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র নিরসন, কর্মসংস্থান তৈরি, নারী ও শিশু উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবেলায় সহায়ক কার্যক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিক বরাদ্দ দিতে হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় বাড়ার সামঞ্জস্য রাখা, যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।

এতে আরও বলা হয়, উন্নয়ন ব্যয়ের বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কর্তৃক বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের যে প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ তৈরি করেছে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাজেট বরাদ্দে অগ্রাধিকার দিতে হবে
  • সেই বিরল খনিজই চীনের লড়াইয়ের হাতিয়ার
  • বাংলাদেশকে কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে